এতদিন পর্যন্ত সকলেই জানত মেয়েদের বয়স ১৮ হলেই সে স্বাবালিকা (Adult)। অর্থাৎ বিয়ের (marriage) জন্য প্রস্তুত মেয়ে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নিয়েও বিগত বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলে আসছে। মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ থাকলেও এই বিষয়ে অনেকেই সহমত পেষণ করেন না। এবার কেন্দ্রী মন্ত্রিসভায় পাশ হল নতুন প্রস্তাব যেখানে মেয়েদের নূন্যতম বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ২১ করা উচিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিগত অক্টবর মাসেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) এই বিষয়ে জানান, কেন্দ্র বিষয়টি নিয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে। এবার সেই পথেই এগোতে দেখা গেল কেন্দ্র মন্ত্রিসভাকে। সেই সময় মোদী জানিয়েছিলেন, ‘মেয়েদের বিয়ের সঠিক বয়স কত হওয়া উচিত তা নিয়ে আলোচনা পরামর্শ চলছে। দেশের নানা প্রান্ত থেকে এই বিষয়ে অনেক মহিলারা চিঠি দিয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবার জন্য অনুরোধ করেছিলেন’।
প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘রিপোর্ট আসার সাথে সাথেই সরকার খুব দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে’। এই রিপোর্টের জন্য গতবছর জুন মাসে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের একটি কমিটি গঠন হয়েছিল। এমাসে অর্থাৎ ডিসেম্বরেই সেই কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে ও বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১ নছর করার জন্য জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে মেয়েদের বিয়ের জন্য নূন্যতম বয়স হতে হয় ১৮ বছর। নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রীও স্মৃতি ইরানির মতে একজন মেয়েদের বিয়ে ও মাতৃত্বের মধ্যেকার গড় সময়ের ব্যবধান তাদের স্বাস্থ্যের সাথে জড়িত। এমনকি জন্মের সময় শিশু বা জন্মদাত্রী মায়ের মৃত্যুর হার থেকে সন্তান ধারণের ক্ষমতা সব কিছু পর্যালোচনা করেই এই রিপোর্ট পেশ করা হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যসভায় লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল এই তথ্য।
এছাড়াও গতবছর স্বাধীনতা দিবসের সময় প্রধানমত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ভাষণে মেয়েদের বিয়ের বয়সের প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ‘দেশের মেয়েদের স্বাস্থ্য নিয়ে সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। মহিলাদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে তাদের সঠিক বিয়ের বয়স ঠিক করে দেওয়া প্রয়োজন’। সেইমতই রিপোর্ট পেশ হওয়ার পর কাজ এগিয়ে নিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এখন অপেক্ষা শুধু বিল পাশ হওয়ার, তাহলেই ভারতে মেয়েদের বিয়ের নূন্যতম বয়স ২১ বছর হয়ে যাবে