টলিপাড়ার অন্যতম ব্যস্ততম নায়িকা হলেন মিমি চক্রবর্তী। এছাড়াও তারকা সাংসদ হিসাবে বছরভর রয়েছে হাজার টা কাজের দায়িত্ব। তবে জীবনে যতই ব্যস্ততা আসুক, পুজোর দিনগুলোতে হই-হুল্লোড় করে আনন্দে মেতে ওঠার রুটিনে কোনো নড়চড় হয় না অভিনেত্রীর। আর এবারের একটু স্পেশাল তাঁর কাছে। কারণ এবারের পুজোতে পঞ্চমীর দিনেই মুক্তি পেয়েছে সুপারস্টার জিতের সাথে তাঁর সিনেমা ‘বাজি’।
আর সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ছবি নিয়ে ব্যস্ততা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন ‘প্রচারের জন্য কয়েক দিন বেশ ব্যস্ত ছিলাম। দম ফেলারও সময় পাইনি। ছুটি পেলাম ষষ্ঠী থেকে। এই পাঁচটি দিন নিজের মতো করে কাটাব। পরিবারকে সময় দেব, আমার বাচ্চাগুলোর সঙ্গে খেলা করব। সারা বছর এই দিনগুলোর জন্যই যত অপেক্ষা। কাছের মানুষগুলোকে মনের মতো করে কাছে পাই।’
সেইসাথে অভিনেত্রী জানান সারাবছর কাজের চাপে নিজের মাকে পর্যন্ত ঠিক করে সময় দিতে পারেন না অভিনেত্রী। আর এ বছর তাঁর মা তাঁর সঙ্গে ররয়েছেন তাই এই ক’দিন মায়ের কাছেই যতটা সম্ভব থাকবেন অভিনেত্রী। আর পাঁচজন বাঙালির মতোই মিমির কাছেও পুজো মানেই দেদার আড্ডা। তবে গত বছরের মতো এ বছরও রয়েছে করোনার কাঁটা।
তাই পরিস্থিতিটা একটু আলাদা হওয়ায় বন্ধুদের নিয়েই ঘরোয়া পার্টি করার প্ল্যান রয়েছে অভিনেত্রীর। আর থাকছে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া। এপ্রসঙ্গে মিমির বক্তব্য ‘শরীর-স্বাস্থ্যের জন্য সারা বছর ডায়েট করি। এই পাঁচটা দিন কোনও রকম বিধিনিষেধ নৈব নৈব চ। মন ভরে মাংস খাব। ঝোলে-ঝালে-কষায়! পুজোর সময় আমার মিষ্টি প্রীতিও এক লাফে অনেকটা বেড়ে যায়। তাই দিনভর চুটিয়ে খাওয়াদাওয়ার পর শেষ পাতে মিষ্টি চাই-ই চাই!’
সেইসাথে করোনা সংক্রমণের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তারকা সাংসদ জানান ‘কয়েক মাস আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপট দেখেছি আমরা। বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শহর জুড়ে তখন অক্সিজেনের হাহাকার, অ্যাম্বুলেন্সের আওয়াজ। আমি চাই না এই শহর আবারও সেই ভয়ঙ্কর দিনের সাক্ষী হোক। তাই আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আরও সাবধানী হতে হবে। দরকার হলে জামার সঙ্গে মিলিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। তাতে সাজের ব্যাঘাত ঘটবে না। কিন্তু দয়া করে প্রত্যেকে মাস্ক পরুন।’