টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। দিনে দিনে দর্শক মহলে বেড়েই চলেছে অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা। ইদানিং বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে মায়া নগরী মুম্বাইয়ের দিকেও পা বাড়িয়েছেন অভিনেত্রী। ইতিমধ্যেই তিনি অভিনয় করে ফেলেছেন ‘পোস্ত’ ছবির হিন্দি রিমেকে। যদিও এখনও পর্যন্ত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে সিনেমাটি।
বলিউডের (Bollywood) সিনেমাতে অভিনয়ের পর এবার জানা যাচ্ছে মিমির জন্য ডাক এসেছে হিন্দি ওয়েব সিরিজে (Hindi Web Series) অভিনয়ের। শোনা যাচ্ছে তার বিপরীতে থাকতে পারেন বলিউড অভিনেতা আলি ফাজল। উঠে আসছে বাংলা ইন্ডাস্ট্রিরই আরও একজন জনপ্রিয় নায়কের নাম। তবে শুধু নায়ক বলা ভুল হবে তিনি হলেন এই তরুণ প্রজন্মের অন্যতম সম্ভাবনাময় একজন পরিচালক। বাংলার অসংখ্য তরুণীর ক্রাশ।
তিনি আর কেউ নন, কথা হচ্ছে জনপ্রিয় টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) প্রসঙ্গে। আর জল্পনা যদি সত্যি হয় তাহলে এই ওয়েব সিরিজের হাত ধরে প্রথমবার বলিউডে অর্থাৎ হিন্দি ওয়েব সিরিজের জগতে হাতেখড়ি হবে অনির্বাণ মিমি দুজনেরই। যদিও এখনো পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেনি অভিনেতা অভিনেত্রী কেউই।
জানা যাচ্ছে বাঙালি পরিচালক সৌমিক সেন রয়েছেন এই ওয়েব সিরিজের পরিচালনার দায়িত্বে। এই পরিচালক ইতিপূর্বে ‘গুলাব গ্যাং’,এবং ‘মহালয়া’র মতো সিনেমা পরিচালনা করেছেন। প্রসঙ্গত অনির্বাণ ভট্টাচার্যেরও ইতিমধ্যেই হাতেখড়ি হয়েছে বলিউডের সিনেমা ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-তে। যদিও সিনেমাটি এখনও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত ইদানিং বাংলার তারকাদের বলিউডের পাড়ি দেওয়ার যেন হিড়িক পড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আরব সাগর পাড়ে টিনসেল টাউনে পাড়ি জমিয়েছেন টলিউডের স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় থেকে শুরু করে রাইমা সেন পাওলি দাম প্রমুখ। এছাড়া অভিনেতাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই বলিউডে নিজেদের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়,যীশু সেনগুপ্ত এবং টোটা রায়চৌধুরী।
এছাড়া সদ্য জানা গিয়েছে বলিউডের পাড়ি জমাচ্ছেন মিমির বোনুয়া নুসরাত জাহানও। তবে কোন সিনেমা নয় নুসরাতের ডাক পড়েছেন বলিউডের ভাইজান সালমান খানের বিতর্কিত রিয়ালিটি শো বিগ বস হাউসে। এছাড়াও বলিউডের দিব্যা খোসলার সাথে জুটি বাঁধতে চলেছেন নুসরাতের স্বামী যশ দাশগুপ্তও। বলিউডে পাড়ি দেওয়ার খবর কথা রয়েছে নুসরাতের আরেক বান্ধবী তনুশ্রী চক্রবর্তীরও। সব মিলিয়ে বলিউডে এখন এক কথায় বাংলার জয়জয়কার।