আচমকাই শনিবার ভোর রাত থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) । ভীষণ পেটে ব্যথায় কাঁতড়াতে শুরু করেন অভিনেত্রী, প্রেসার প্রচন্ড লো, শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গিয়েছে। ভোর রাতে এতটা অসুস্থতা বোধ করায় মিমি ফোন করে ডাকতে বাধ্য হন তার পরিচারিকাকে।
বেশ কিছুদিন ধরেই গলব্লাডার এবং লিভার জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী। ডাক্তারের পরামর্শ মতোন নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি, খেতেন ওষুধও। দিন কয়েক আগেই কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন মিমি, আর সেটা যে ভুয়ো ছিল তা এখন আর জানতে বাকি নেই কারোরই।
ভ্যাকসিনের নামে জলে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল অ্যামিকাসিন। মিমিকে পরীক্ষা করে ডাক্তার জানিয়েছেন ভুয়ো ভ্যাকসিন অথবা অত্যাধিক চিন্তার ফলে প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে মিমির। আপাতত দিন কয়েক অভিনেত্রীকে সম্পূর্ণ বেড রেস্টে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার।
প্রসঙ্গত, কসবায় ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডে আয়োজিত একটি টিকাকরণের শিবির থেকে এদিন করোনা টীকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু পরে অভিনেত্রী জানতে পারেন, কলকাতা পুরোসভার কোনো রকম অনুমতি না নিয়েই এই শিবির চালিয়ে যাচ্ছিলেন আয়োজকরা।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভা, তারপর কলকাতা পুলিশের ফরেন্সিক বিভাগ; দু’তরফেই নিশ্চিত করা হয়েছে, টিকাকরণ কেন্দ্রে করোনার আসল ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। কারণ, বাজেয়াপ্ত ভ্যাকসিনের ভায়ালে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ, ব্যাচ নম্বর বা ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট, কোনওটাই উল্লেখ নেই। এমনকী, ভ্যাকসিন ভায়ালের ট্যাগে লেখা নেই প্রস্তুতকারী সংস্থার নামও। ইতিমধ্যেই আরও অনেকের শরীরেই প্রবেশ করেছে এই ভুয়ো ভ্যাক্সিন। তাই চিন্তার মেঘ কাটছেনা কিছুতেই।