মঙ্গলবার রাতে বলিউডের কিংবদন্তি সঙ্গীত পরিচালক বাপ্পি লাহিড়ীর (Bappi Lahiri) আকস্মিক প্রয়াণে কার্যত সমাপ্তি ঘটল এক বিরাট অধ্যয়ের। তবে কথায় আছে শিল্পীর মৃত্যু নেই। তাই শরীর নশ্বর হলেও শিল্পীর সৃষ্টি শাশ্বত, চিরন্তন। আমাদের সকলের প্রিয় বাপ্পিদাও চিরকাল অমর থাকবেন তাঁর কালজয়ী সব সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে। তবে ‘ডিস্কো কিং’য়ের মৃত্যুতে গোটা সঙ্গীত জগতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা এককথায় অপূরণীয়।
তিনি ছিলেন বলিউডের ডিস্কো গানের ট্রেন্ড সেটার। আশির দশকে হিন্দি সিনেমা জগতে পা রাখার পর থেকে একের পর এক দুর্ধর্ষ সব সঙ্গীত পরিচালনার মাধ্যমে হিন্দি গানের দিশা বদলে দিয়েছিলেন এই বঙ্গ সন্তান। তবে শুধু গান নয় সেইসাথে বরাবরই চর্চায় থেকেছে তাঁর স্টাইল স্টেটমেন্ট, পোশাক আশাক থেকে সোনার গয়না।
তাই বাপ্পি লাহিড়ী মানেই আমাদের সকলের চোখের সামনে ভেসে ওঠে চোখে কালো চশমা পরা একগাল হাসিমুখ। সেইসাথে হাত আর গলা ভর্তি একগুচ্ছ সোনার গয়না। যা হামেশাই নজর কাড়ত অসংখ্য অনুরাগীদের। তবে শুধু অনুরাগীরাই নন ভারতের এই ‘গোল্ডেন ম্যান’-এর সোনার গয়না মুগ্ধ করেছিল বিশ্ববিখ্যাত ‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসনকেও (Michael Jackson)।
একবার পুরনো এক সাক্ষাৎকারে একথা হাসিমুখে নিজেই জানিয়েছিলেন বাপ্পিদা। উল্লেখ্য নব্বইয়ের দশকে অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে মুম্বই সফরে ভারতে এসেছিলেন স্বয়ং পপ তারকা। তখনই মুখোমুখি সাক্ষাৎ হয়েছিল দুই কিংবদন্তী শিল্পীর। পুরনো সেই স্মৃতি হাতড়ে একবার এক সাক্ষাৎকারে বাপ্পি লাহিড়ী বলেছিলেন, তাঁর গলায় গণেশের লকেট বসানো ভারী সোনার হারটি দেখে নাকি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন স্বয়ং মাইকেল জ্যাকসন।
নজরকাড়া ওমন সুন্দর হার দেখা মাত্রই বাপ্পিদার সামনে এসে পপ তারকা নাকি বলেছিলেন, ‘আরেব্বাস! এ তো দুর্ধর্ষ হার। কে আপনি?’ এরপরেই মাইকেলকে নিজের পরিচয় দিয়ে বাপ্পি লাহিড়ী নাকি বলেছিলেন ‘আমি ‘ডিস্কো ডান্সার’-এর সুরকার’। একথা শুনে মাইকেল জ্যাকসন তৎক্ষণাৎ জানিয়েছিলেন, ‘জিমি জিমি’ ওঁর পছন্দের গান।’