‘মনে হতো সবাই পোশাক ভেদ করে শরীর দেখছে!’ নীরবতা ভেঙে অকপট মিয়া খালিফা

মিয়া খালিফা (Mia Khalifa), পর্নোগ্রাফি দুনিয়ার জনপ্রিয় এই তারকার নাম আশা করি কমবেশি শোনা আছে সকলেরই। নীল ছবির দুনিয়ায় তার কাজের মেয়াদ মাত্র ৩ মাস। আর তাতেই তার জীবন এখন খোলা পাতার মতো গোটা দুনিয়ার কাছে। আজ থেকে ৭ বছর আগেই অর্থাৎ ২০১৫ সালে অ্যাডাল্ট ফিল্মের (Adult Film) দুনিয়াকে বিদায় জানিয়েছিলেন এই ওয়েব ক্যাম মডেল তথা পর্ন অভিনেত্রী।
কিন্তু হলে কি হবে! কথায় আছে ‘অতীত কখনও পিছু ছাড়ে না’। ব্যাতিক্রম নন মিয়া খলিফাও। কাজ ছাড়ার এতদিন পর এখনও অতীতের কাজের জন্য ফল ভোগ করতে হয় অভিনেত্রীকে। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পরেও তার জীবন হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। অভিনেত্রীর কথায় ‘ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর আতঙ্কে ছিলাম।আমার ট্রমা হতো,মস্তিষ্কে চাপ পড়তো।
সেই সাথে মিয়া জানিয়েছেন পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর মানুষের সামনে যেতে খুবই সমস্যা হতো তার। কারণ অভিনেত্রীর কথায় ‘জনসমক্ষে আসলে লোকজন আমার দিকে এমনভাবে তাকাতো যে মনে হতো সবাই আমার পোশাক ভেদ করে তার শরীর দেখছে’। এসব দেখে তার চোখ লজ্জায় ঝুঁকে যেত মিয়ার। তার মনে হতো তিনি তার সমস্ত গোপনীয়তা হারিয়েছেন। তাই তার কোন কিছুই আর গোপন নেই।
একটা মাত্র গুগল ক্লিক-এই তার জীবন খুলে যায় সকলের সামনে। সেই সাথে নিজের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারের কথা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী জানিয়েছেন ‘আমার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হওয়ার পর অনেক মহিলায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের কাউকে পাচার করে আনা হয়েছে কিংবা কাউকে জোর করে নিয়ে আসা হয়েছিল নীল ছবির দুনিয়ায়’।
তারা সকলেই নাকি নিজেদের জীবনের গল্প ভাগ করে নিতেন মিয়া খালিফার সাথে। সেই সাথে এরকম একটা অবস্থার মধ্যে দিয়ে তারা কিভাবে বেরিয়ে আসতে পারবেন সেই উপায়ও তারা জানতে চেয়েছিলেন মিয়া খলিফার কাছে। তাই মিয়া মনে করেন এই ব্যাপারে কথা বলতে শুরু করে তিনি আসলে ভালোই করেছেন।
কিন্তু সেই অন্ধকার জগত থেকে বেরিয়ে আসার এতদিন পরেও কিন্তু মানসিক চাপ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি মিয়া। তিনি জানিয়েছেন নিজের পরিবারের কথাও। অভিনেত্রীর কথায় ‘আমার বাড়ির লোককে না জানিয়েই আমি এই দুনিয়ায় পা রেখেছিলাম পরে সবটা জানতে পেরে তারা আর আমাকে স্বীকার করেননি। সেই ঘটনায় আমি আরো ভেঙে পড়ি। সবশেষে মিয়া জানিয়েছেন আজও সেই মানসিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।