প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন বিচ্ছেদের (Divorce) খবরে সরগরম পেজ থ্রির (Page 3) পাতা। ঘোর বর্ষার মরশুমে আকাশ ভাঙা বৃষ্টির সাথেই না জানি ভেঙে যাচ্ছে কত সংসার। একসময় একে অপরের হাত ধরে গোটা জীবন এক ছাদের নীচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিলেন বছর ঘুরতেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন তাঁরাই। কথা হচ্ছে প্রাক্তন পর্ন তারকা মিয়া খলিফা (Mia Khalifa)-কে নিয়ে।
একরাশ মন খারাপ নিয়ে ইনস্টাগ্রামের একটি দীর্ঘ পোস্টে এই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা নিজেই জানিয়েছেন মিয়া খালিফা। আজ থেকে ২ বছর আগে ২০১৯ সালে সুইডিশ শেফ রবার্ট স্যান্ডবার্গের(Robert Sandberg) সঙ্গে আংটি বদল হয় মিয়ার। এরপর গত বছর জুন মাসেই আনুষ্ঠানিক ভাবে একে অপরের সাথে গাঁটছড়া বাঁধেন এই জুটি। সেসময় বিয়ে হয়ে হলেও করোনার কারণে রিসেপশন আয়োজন করেননি তাঁরা। ইচ্ছা ছিল পরে বড়ো করে রিসেপশন পার্টি করবেন। কিন্তু তার আগেই সামনে এল তাঁদের বিচ্ছেদের ঘটনা।
তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে এতদিন তাঁদের বিচ্ছেদের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ। এমনকি একমাস আগেও তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে এমন কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। উল্টে তাঁদের সবসময় দেখা যেত হ্যাপি কাপলসদের মতো নেটমাধ্যমে নিজেদের প্রেমের কথা বলতে। এছাড়া সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁরা দু’জন দু’জনকে ‘কাপল গোলস’ দিতে দেখা যেত।
এদিন ইনস্টাগ্রামে দীর্ঘ পোস্টে মিয়া লিখেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে পারি যে সব রকম ভাবে চেষ্টা করার পরেও আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হল না। প্রায় এক বছর সময় ধরে আমাদের থেরাপি এবং প্রচেষ্টার পরে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যাচ্ছি। তবে এটাও জানি সারা জীবনে জন্য ভালো বন্ধু হিসাবেই থেকে যাব। আমরা এটাও জানি আমরা সব রকম ভাবে চেষ্টা করেছিলাম। আমরা সব সময় একে অপরকে সম্মান করব। কোনও একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য নয়, কখনও সমাধান না হওয়া মানসিক এবং মতামতের পার্থক্যের জন্যই আমরা আলাদা হচ্ছি। তবে এর জন্য আমরা কখনও একে অপরকে দোষী সাব্যস্ত করব না। আমরা এই চ্যাপ্টার বন্ধ করছি। ‘
সেই সাথে মিয়ার আরও সংযোজন ‘তবে বন্ধু, আত্মীয়দের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে আমরা যুক্ত থাকব। নতুন ভাবে শুরু করছি আমরা দুজনেই। আমাদের আরও একটি বিষয় এক সঙ্গে জুড়ে রাখবে তা হল কুকুরের প্রতি আমাদের ভালোবাসা। এটা অনেক দিন ধরেই জানানোর ছিল। আমরা আনন্দিত যে বহু দিন ধরে সময় বার করে আমরা সব রকম প্রচেষ্টা করেছি বিয়ে টিকিয়ে রাখার। আমরা সম্মানের সঙ্গে আলাদা হচ্ছি এটা জেনেই যে চেষ্টার কোনও ত্রুটি ছিল না।’