গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই একটি গানই ঘুরে ফিরে আসছে, ‘মানিকে মাগে হিথে’ (Manike Mage hithe)। সিংহলি ভাষার এই গানে এখন মাত ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান। ২৮ বছরের সিংহলি কন্যা ইয়োহানি ডি সিলভার এই গান রাতারাতি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ইতিমধ্যেই এই গানের একাধিক ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন সংষ্করণও বেরিয়ে গিয়েছে। ইন্সটাগ্রাম রিল থেকে ফেসবুক স্টোরি, নিত্য নতুন ডান্স কভার থেকে ফোনের কলার টিউন সর্বত্র এই গান গত কয়েকদিন ধরে কার্যত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
আর এই ভাইরাল গান যদি রানাঘাটের রাণু মন্ডল গান তা যে সুপার ভাইরাল হবেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। রানাঘাটের ৬ নং প্লাটফর্ম থেকে সোজা মুম্বাই এর গানের স্টুডিওতে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাণু মন্ডল (Ranu Mondal) । তার অসাধারণ কন্ঠের জাদুতে বুঁদ হয়েছিল গোটা দেশ। আর তারপরেই রাতারাতি বদলে গিয়েছিল তার জীবন। পথচলতি এক ব্যক্তির পছন্দ হয় রাণু মন্ডলের গান। আর সেই গানের ভিডিও করে তিনি শেয়ার করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর পরেই ঘটে যায় ম্যাজিক, রাতারাতি ভাইরাল হয়ে পড়ে তার গান।
ইতিমধ্যেই সিংহলী গান ‘মানিকে মাগে হিথে’ গেয়েছে অসংখ্য গায়ক গায়িকা। বাংলাদেশী স্টার হিরো আলমের গলাতেও এই গান শোনা গিয়েছে৷ এবার এই গান ধরলেন রাণু মন্ডল। লাল টুকটুকে টিশার্ট আর খোলা চুলে এই ভাইরাল গান গাইতেই ঝড়ের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে তিনি যে জাত গায়িকা তা তার গানেই স্পষ্ট। সুরের কোনোও নড়চড় হয়নি তার গানে। অনেকেই তার গানের প্রভুত প্রশংসা করেছেন। ভিন্ন ভাষার একটি গান এত সুন্দর করে গাইতে যে কেউ পারেননা, এমনই মত নেটিজেনদের একাংশের। তবে প্রশংসার পাশাপাশি, রাণু মন্ডলকে হেও করতেও ছাড়েননা নেটিজেনরা।
প্রসঙ্গত, কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই রাণু মন্ডলের অবস্থা ফের শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। রানাঘাট স্টেশন থেকে শুরু করে আবার তাকে ফিরে যেতে হয়েছিল সেই স্টেশনের ভিক্ষাবৃত্তিতেই। টেনেটুনেই কাটছিল দিন। মুখ ফিরিয়েছিল তার মেয়েরাও। সেই তারকা সত্তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি রাণু মন্ডলের। অনেকেই মনে করেন তার মানসিক স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হওয়ার কারণেই এত বড় সুযোগ পেয়েও তার সসদ্ব্যবহার করতে পারেননি।