ছোট হোক বা বড় যাকেই প্রশ্ন করা হোক না কেন সবাই বলে দিতে পারবে বনের রাজা সিংহ। সেই ছোট বেলা থেকেই পশুপাখিদের সাথে পরিচয় করানোর সময় এটা পড়ানো হয়েছে। যেমন দেখতে ভয়ঙ্কর তেমনি হিংস্র হয় সিংহেরা (Lion)। তাদের ধরে কাছে যাওয়া তো দূরের কথা চিড়িয়াখানায় (Zoo) দেখলেও পালায় অনেকে। তবে কিছু মানুষ এমনও রয়েছে যারা সবকিছুকেই মজা হিসাবে দেখে।
কেন এমন কথা বলছি? কারণ চিড়িয়াখানা কমবেশি আমার সকলেই গিয়েছি। বইয়ের পাতায় বা টিভির পর্দায় দেখা পশুপাখিদের জীবন্ত দেখতে হলে চিড়িয়াখানাই সবচাইতে সহজ ও নিরাপদ জায়গা। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাণীদের এনে রাখা হয়। সাথে এমন কিছু প্রাণীদের রাখা হয় যারা হয়তো প্রকৃতিতে সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মূলত তাদের সংরক্ষণের স্বার্থেই এনে রাখা হয়।
কিন্তু মুশকিল হল চিড়িয়াখানায় সব ধরণের মানুষেরাই যায়। কিছু মানুষ যেমন দূর থেকে দেখেই আনন্দ নেয় তেমনি কিছু মানুষ আবার খাঁচাবন্দি প্রাণীদের উত্তক্ত্য করতে পছন্দ করে। সম্প্রতি এমনি এক ব্যক্তির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল (Viral Video) হয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে খাঁচাবন্দি বনের রাজা সিংহকে উত্তক্ত্য করতে গিয়ে ভয়ঙ্কর শিক্ষা পেয়ে গিয়েছে সে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সিংহের খাঁচার সামনে গিয়ে শুরুতে হাত নেড়ে ভেংচি কাটছিলো সে। এরপর খাঁচার জালের ফাঁক দিয়ে হাত গলিয়ে সিংহটিকে উত্তক্ত্য করার চেষ্টা করছিল। নিজেকে বীর প্রমাণ করতে চেয়েই হোক বা ভাইরাল হওয়ার নেশাতেই হোক এমন কাজ করতে গিয়ে শেষমেশ ভয়ঙ্কর পরিণতি জুটেছে ওই ব্যক্তির কপালে। সুযোগ পেতেই ওই ব্যক্তির হাতের আঙ্গুল কামড়ে ধরেছে সিংহ।
Show off bring disgrace
The lion at Jamaica Zoo ripped his finger off. pic.twitter.com/Ae2FRQHunk
— Ms blunt from shi born ?? “PRJEFE” (@OneciaG) May 21, 2022
সিংহের থাবা থেকে যেখানে বন্য প্রাণীরা বাঁচতে পারে না, সেখানে একবার যখন আঙ্গুল কামড়ে ধরেছে তখন কি আর সহজে ছাড়া পাওয়া যায়। আঙ্গুল কামড়ে ধরতেই প্রাণপণ চেষ্টা করে শেষমেশ আঙ্গুলটিকে সিংহের কামড় থেকে ছাড়াতে পেরেছে সে। আর এই গোটা ঘটনা আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষেরা মোবাইলের ক্যামেরা বন্দি করেছেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করা হলে তা হু হু করে ভাইরাল হয়ে পড়েছে।
ভিডিও দেখে নেটিজেনদের অনেকেই রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তবে ভিডিও দেখার পর দুই ধরণের মতামত পাওয়া গিয়েছে। কারোর মতে একেবারে উচিত শিক্ষা পেয়েছে ওই ব্যক্তি। তো কেউ আবার আশেপাশে থাকা লোকেদের প্রতি রাগ প্রকাশ করেছেন, কারণ একজনকে বিপদে পড়তে দেখেও তারা মোবাইলে ভিডিও করতেই ব্যস্ত ছিলেন।