শীতকাল সবে পড়তে শুরু করেছে। শীতে সকলেই কম বেশি ঘুম কাতুরে হয়ে পড়ে। সাধারণত যে পরিমান ঘুম হয় তার থেকে বেড়ে যায় ঘুমের পরিমান। ঘুম বেশি হলেই আবার শুনতে হয় কুম্ভকর্ণের মত ঘুমাচ্ছে। কুম্ভকর্নকে মনে আছে নিশ্চই! পৌরাণিক কাহিনী রামায়ণে কুম্ভকর্ণের কথা উল্লেখ রয়েছে।
বিশালাকার চেহারার রাক্ষস এই কুম্ভকর্ণ। ঘুমাত টানা ৬ মাস ধরে। ঘুম ভাঙলেই সামনে যা পেত তাই খেতে শুরু করে দিত। এমনকি সামনে মানুষ পেলে মানুষদেরকেও আস্ত গিলে খেত সে। ভগবান ব্রম্ভার কাছ থেকে কুম্ভকর্ণ এই বড় পেয়েছিল। যার জেরে এই ধরণের আজব সব কান্ড করতে পারতো কুম্ভকর্ণ।
কিন্তু কলিযুগে এতটা ঘুমানোর মত সাধ্য আছে কার! তবে একেবারে কুম্ভকর্ণের মত না হলেও বীভৎস ঘুমানোর ক্ষমতা রয়েছে এই ব্যক্তির। কুম্ভকর্ণের মত হয়তো ৬ মাস ঘুমাতে পারেন না .তবে, একটানা প্রায় ৭ দিন পর্যন্ত ঘুমাতে পারেন ইনি।
অদ্ভুত ক্ষমতাধারী এই ব্যক্তির বাস মানিকগঞ্জ বাংলাদেশে। নামটি তার ভোম্বল পাল। একটানা সাত দিন না খেয়ে দিয়ে ঘুম দিতে পারেন তিনি। ঘুমানোর ফাঁকে কাজকর্ম তো দূরস্থ, মাঝে মধ্যে স্নান হয় মাসে মাত্র একবার। স্নান করতে গিয়েও ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। আর ঘুম থেকে উঠলে একাই খেয়ে ফেলেন তিন চার জনের খাবার।