• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

সারা জীবনের রক্ত জল করে জমানো ৫ লক্ষ টাকা কুঁড়ে কুঁড়ে খেল উই পোকায়!

অনেকেরই টাকা জমানোর (Money Savings) শখ থাকে। কেউ ভাঁড়ে তো কেউ আবার কোনো বক্সের মধ্যে টাকা জমিয়ে রাখেন। আবার অনেকে কাউকে না জানিয়েই গোপন ভাবে বিছানার তলায় থেকে শুরু করে আজব সমস্ত জায়গায় টাকা সঞ্চয় করতে থাকেন। যদিও সঞ্চয় কিন্তু আসলে একটি ভালো অভ্যাস, কারণ বিপদে আপদে সঞ্চিত টাকা অনেক কাজে আসে। এমনকি অনেক সময় সঞ্চয়ের টাকার জন্য জীবন পাল্টে জেতে পারে। তাই আজ অনেকেই বা বলতে গেলে প্রায় প্রত্যেকেই টাকা সঞ্চয় করতে ভালোভাসেন।

   

কিন্তু সঞ্চয় যেমন ভালো তেমনি সঞ্চয় জীবনের সবথেকে বড় দুঃখের কারণও ঘটতে পারে। তার প্রমাণ স্বরূপ আজ আপনাদের একটি ঘটনার কথা জানাতে চলেছি। অন্ধ্রপ্রদেশের এক শূকর ব্যবসায়ীর কথা আজ আপনাদের জানাতে চলেছি। যেমনটা বললাম পেশায় এই ব্যক্তি ছিলেন শূকর ব্যবসায়ী, অর্থাৎ শূকর সরবরাহ করতেন তিনি।

৫২ বছরের ওই ব্যক্তির নাম হল বিজলি জামাল্যয়া, তিনি অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhrapradesh) ময়লাভরাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি ধীরে ধীরে টাকা সঞ্চয় করতেন, আর সেই টাকা রাখতেন একটি স্টিলের ট্রাঙ্কে। কিন্তু হটাৎই তিনি জানতে পারেন তার তিল তিল করে জমানো সঞ্চয়ের ৫ লক্ষ টাকা কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে নিয়েছে উই পোকায়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন ৫ লক্ষ টাকা কুঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে নিয়েছে উই পোকায়। অবশ্য বিজলি এই বিষয়টি জানতেও পারতেন না যদি তিনি ট্রাঙ্কটি না খুলতেন।

Money Eaten by Termites Andhrapradesh Incedent

বিজলি বহুদিন ধরেই একটা বাড়ি বানানোর স্বপ্ন নিয়ে ওই ট্রাঙ্কের মধ্যে টাকা জমাচ্ছিলেন। বিজলীর ট্রাঙ্কের মধ্যে ছিল ৫০০, ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ ও ২০ টাকার নোট। সেই সমস্ত নোট স্টিলের ট্রাঙ্কে সুরক্ষিত থাকবে ভেবেই এতদিন ধরে টাকা জমাচ্ছিলেন বিজলি। কিন্তু ব্যবসায়িক কারণে ১ লক্ষ টাকা মত খুব দরকার পরে বিজলির। আর তাই কিছু টাকা বের করার উদ্দেশ্যেই সেই ট্রাঙ্ক খোলা।

Money Eaten by Termites Andhrapradesh Incedent

ট্রাঙ্ক খুলে দেখতেই মাথায় হাত পরে যায় বিজলীর। তার কষ্ট করে জমানো টাকা কি না ওই পোকায় খেয়ে তছনছ করে দিল! যেমনটা জানা যাচ্ছে বিজলি বা তার পরিবারের কারোর কোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, তাই এই ভাবে টাকা রাখতেন তাঁরা। অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ বিজলীকে আশ্বাস দিয়েছে যে সে যদি কোনো অসৎ উপায়ে এই টাকা উপার্জন না করে থাকে তাহলে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।