• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

ভাত ডাল রুটি ছেড়ে বিগত ৩২ বছর ধরে পাথর খেয়েই বেঁচে আছেন এই ব্যক্তি!

খাবার নিয়ে অনেকেরই পছন্দ অপছন্দ রয়েছে। কেউ এটা খান তো কেউ ওটা খান, তবে খাবার খান অবশই। কিন্তু পৃথিবীতে এমনও এক মানুষ আছে যার কিনা মানুষের খাবারের লম্বা তালিকার একটি খাবারও পছন্দ নয়। বদলে পাথরকেই (Stone) নিজের খাবার হিসাবে বেছে নিয়েছেন এই ব্যক্তি। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন, খাবার হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে শুধুমাত্র পাথর খেয়েই বেঁচে আছেন এই ব্যক্তি।

বিখ্যাত এই ব্যক্তির নাম হল রামদাস বোদকে (Ramdas Bodke)। মহারাষ্ট্রের (Maharastra) সাতরা জেলার আদারকি খুরদ গ্রামের বাসিন্দা রামদাস। রামদাসকে বাইরে থেকে দেখলে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই মনে হবে। তবে আদতে কিন্তু মোটেও কোনো সাধারণ ব্যক্তি নন তিনি। খাবারের বদলে পাথর খান যে তিনি।

   

Ramdas Bodke Man eats stone for 32 years

আজ থেকে ৩২ বছর আগে ৯০ এর দশকের শুরুর দিকে পাথর খাওয়া শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে প্রতিদিন খাবার হিসাবে নুড়ি পাথর খেয়ে (Eating small Stones) চলেছেন। যেমনটা জানা যাচ্ছে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম পাথর খান রামদাস। হটাৎ কেন এমন শখ হল রামদাসের! যেখানে এতো সুস্বাদু সমস্ত খাবার রয়েছে গোটা ভারতবর্ষে সেখানে রাস্তার পাথর খাওয়া কেন শুরু করলেন রামদাস?

Stones

এই প্রশ্নের উত্তরে রামদাস জানিয়েছেন। রামদাসের বয়স যখন ৪৬ বছর তখন তীব্র পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকেন তিনি। ডাক্তার বৈদ্য হাজারো উপায় ট্রাই করেও কোনো সুফল পাননি। কোনো ওষুধেই রামদাসের পিটার অসহ্য যন্ত্রনা বন্ধ হয়নি। এরপর গ্রামেরই এক মহিলা রামদাসকে পাথর খাবার পরামর্শ দেন। হাজারো ওষুধে যখন কাজ হল না তখন মহিলার কথা শুনতে আর আপত্তি কিসের! তাই পাথর খেলেন রামদাস। পাথর খেয়ে বেশ আরাম পেলেন।

ব্যাস! সেই যে পাথর খাওয়া শুরু হল আর বন্ধ হয়নি। এরপর থেকে পাথর খেয়েই দিব্যি ভালো আছেন রামদাস। বর্তমানে পাথর খাওয়া নেশায় পরিবর্তিত হয়েছে রামদাসের। বাড়ির লোকে যদি তাকে পাথর খেতে না দেয়, তাহলে লুকিয়ে পাথর খেয়ে নেন তিনি। রামদাসের এই পাথর খাবার খবর ব্যাপক ভাইরাল হয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাঁর এই অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাসের কথা শুনে হকচকিয়ে রিয়েছেন চিকিৎসকেরাও।