দক্ষিণী ছবির (South Film) জনপ্রিয়তা যে বেড়েই চলেছে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এবার আবারও একটি দক্ষিণী ছবি চর্চায় উঠে এসেছে। আরআরআর থেকে কেজিএফ ২ এর মত ছবি যেখানে ঐতিহাসিক কাহিনী তুলে ধরা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি রিলিজ হওয়া মেজর (Major) ছবিতে ২৬/১১ এর মুম্বাইয়ের ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে। সেই ঘটনা যা কোনো এক সকালে স্তব্ধ করে দিয়েছিলো গোটা দেশকে। মুম্বাই শহর হয়েছিল আতঙ্কিত।
২৬/১১ এর সেই মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলায় মেজর সন্দীপ উন্নীকৃষ্ণনের (Sandip Unnakrishnan) সাহসিকতা ও নির্ভীকতার স্মৃতি আজও সকলের মনে দগদগে হয়ে রয়েছে। সেই সাহসিকতাকেই এবার রুপোলি পর্দায় নিখুঁত ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতা আদিবী সেশ (Adivi Sesh)। মেজর ছবিতে সন্দীপ উন্নীকৃষ্ণনের ভূমিকায় দর্শকের চোখে অভিনেতা তুলে ধরেছেন এক সাহসী নির্ভিক সৈনিকের ছায়ামূর্তি।

সম্প্রতি এই ছবিটি মুম্বাইতে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডদের স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে দেখানো হয়েছিল। সেখানে এই ছবিটি দেখতে ৩১২ জন কমান্ডো পরিবার উপস্থিত ছিলেন। তাদের সামনে সম্পূর্ণ ছবিটি দেখানো হয়। উপস্থিত সকলেই স্তব্ধ হয়ে শুধু দেখছিলেন। ছবির শেষে কারুর মুখে ছিল না কোনো কথা। যেন ছবিটি তাদের বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে।
এদিন স্ক্রিনিংয়ের সময় ২৬/১১ ছবির মেজর সন্দীপ উন্নীকৃষ্ণনের ভূমিকায় অভিনীত অভিনেতা আদিবী সেশও উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানান, ওই ৩১২ জন কমান্ডো পরিবার সমেত ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডরা প্রথমত ছবিটি দেখে আর কিছু বলতে পারেননি। তারপর তারা অভিনেতাকে তাদের দফতরে আসতে জানিয়েছিলেন।
আর অভিনেতা তাদের দফতরে পৌঁছলে অভিনেতার কথায় তার জীবনের মূল্যবান পুরস্কারটি তিনি পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে। যা তার কাছে অস্কারের থেকেও অনেক বড়ো। ওই কমান্ডো সদর দফতর থেকে অভিনেতাকে একটি পদক তুলে দেওয়া হয়। এটা কোনো যে সে পদক নয়, ইটা ছিল ব্ল্যাক ক্যাট পদক যেটা কমান্ডোদের তরফ থেকে প্রদান করা হয় তাকে। এটি পেয়ে খুশিতে উস্চ্ছসিত হয়ে পড়েন নায়ক। তিনি জানান, এটা আমার কাছে অস্কারের থেকেও বেশি মূল্যবান।














