বলিউডে কাস্টিং কাউচ নিয়ে বহুবার বিতর্ক হয়েছে। আজ থেকে নয় এই বিতর্কের সূত্রপাত অতীতেও বহুবার হয়েছে। গতবছরই ‘me too’ নিয়ে ব্যাপক চর্চা হয়েছিল। এবার বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই সমস্ত কান্ড কারখানা নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মহিমা চৌধুরী (mahima chowdhury)।
অভিনেত্রী নিজের সময়ের ও বর্তমান সময়ের নায়িকাদের নিয়ে তুলনা করেই ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন। প্রথমেই নিজের সময়ের কথা তুলে তার আসার কথা জানিয়েছেন। এরপর জানিয়েছেন বর্তমান ইন্ডাস্ট্রীর হাল। মহিমার মতে, যে অসময় আমি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলাম সেই সময় দর্শকেরা ভার্জিন নায়িকাদেরকেই দেখতে চাইতো রুপোলি পর্দায়।
সেকালের থেকে বর্তমান ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা অনেকটাইভালো। আজকাল নতুন অভিনেত্রীরা যেমন সুযোগ পাচ্ছেন তেমনি দারুন সমস্ত চরিত্রে অভিনয় করতে পারছেন। অথচ মহিমার সময়ে সেসব ছিল না। কোনো অভিনেত্রী যদি ডেটিং করাও শুরু করতে তাহলেই তার ফিল্মি কেরিয়ারে ধস নামত। কারণ দর্শকদের মাথায় গেথে গিয়েছিল যে নায়িকা ভার্জিন হতে হবে যে কোনোদিন চুমুও খাইনি।
এমনকি অভিনেত্রীর মতে, সেই সময় তো অভিনেত্রীরা কেরিয়ারের কারণে বিয়েও করতে পারতেন না। কারণ একবার বিয়ে হয়ে সেই অভিনেত্রীর জনপ্রিয়তা দর্শকদের কাছে শেষ হয়ে যেত। সুতরাং ছবিতে অভিনয় করলেও ছবি ফ্লপ হওয়া একপ্রকার অবধারিত ছিল। অবশ্য শুধুই যে অভিনেত্রীদের জন্য এই পরিস্থিতি ছিল তা কিন্তু নয়, এমন বহু অভিনেতা রয়েছেন যাদের কেরিয়ারে প্রভাব পড়ত।
এই কারণেই সেই সময় অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে সবটাই লুকানো থাকত। উদাহরণ স্বরূপ আমির খান ও গোবিন্দার মত অভিনেতাদের ছবি রিলিজ হবার অসময় তাঁরা বিবাহিত হাসিলেন কিন্তু সেটা দর্শকদের থেকেই লুকিয়ার রাখা হয়েছিল। কারণ দর্শকদের মধ্যে জানাজানি হয়ে গেলেই সেই ছবি দেখতে কেউ আসবে না। তবে সময়ের সাথে সাথে এই পরিস্থিতি পাল্টেছে।