বলিউডের (bollywood) প্রযোজকদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন মহেশ ভাট (mahesh bhatt)। বহু অভিনেত্রী তার ছবি দিয়ে নিজের অভিনয় জগতের পথ চলা শুরু করেছেন। শুধু যে এদেশীয় তা নয় বিদেশ থেকে এসেও অনেক অভিনেত্রী বলিউডে নাম করেছেন পরিচালক মহেশ ভাটের হাত ধরেই। কিন্তু পাকিস্তানি এক অভিনেত্রীর (pakisthani actress) ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাটা ছিল একটু অন্যরকম।
পাকিস্তানি অভিনেত্রী মীরাকে (meera) চড় খেতে হয়েছিল মহেশ ভাটের কাজ থেকে। চড় খাবার পর সুদূর আমেরিকার মানসিক হাসপাতালে (mental hospital) ভর্তি হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। মীরা নাম বলিউডে সকলে অভিনেত্রীকে চিনলেও অভিনেত্রীর আসল নাম ইরতিজা রুবাব।
পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ললিউড থেকে শুরু করে বলিউডে বহু ছবি করেছেন অভিনেত্রী। জনপ্রিয়তাও রয়েছে দুই দেশেই। অভিনয়ের জন্য পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে সম্মানিত হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে মীরা অভিনীত ছবি যেমন জনপ্রিয় তেমনি অভিনেত্রীকে নিয়ে রয়েছে নানা বিতর্ক।
আজকাল অনেক কম বয়সেই অভিনেত্রী হিসাবে কেরিয়ার শুরু করে সাফল্য পেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু মীরার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ৪৪ বছর বয়সে অভিনকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নেন অভিনেত্রী। কাজ শুরুর পর বেশ কয়েক বছর লেগেছিল পরিচিতি পেতে। মূলত ১৯৯৯ সালের ‘খিলোনা’ নামের এক পাকিস্তানি ছবিতে অভিনয় করেই জনপ্রিয় হন অভিনেত্রী। ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য ‘নিগর পুরস্কার’ পেয়েছেন পাকিস্তানে।
অভিব্যয় জগতের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি নানান বিতর্কে থাকতেন অভিনেত্রী। যার জেরে মুখে মুখে চর্চা হত অভিনেত্রীকে নিয়ে। এরপর ২০০৫ সালে অভিনেত্রী ভারতে আসেন জনপ্রিয়তা লাভের আশায়। কাজ পেয়েছিলেন ঠিকই তবে পাকিস্তানের মত হিট হতে পারেননি। তাছাড়া মহেশ ভাটের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় আরও বলিউড থেকে মুছে যান অভিনেত্রী। মহেশ ভাটের মতে কোনো পরিচালকের নিচে কাজ করতে দিতে চাননি তিনি। অথচ লুকিয়ে পরিচালকের সাথে কাজ করতে চেয়েছিল অভিনেত্রী। এর ফলাফল হিসাবে বলিউডে তিনটি ছবিই শেষ আর কোনো ছবি করতে পারেননি অভিনেত্রী।
ভারতে অভিনয়ের পালা শেষ হবার পর অভিনেত্রী আবার পাকিস্তানে ফিরে যান। নিজের দেশে জনপ্রিয়তা থাকায় সিনেমার অফার পেতে বেশ কষ্ট করতে হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তানেই ছবি ও সিরিয়ালের অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করছেন অভিনেত্রী। তবে বিগত কিছুদিন ফের শিরোনামে উঠে এসেছেন অভিনেত্রী।
হটাৎই জানা যায় আমেরিকার মানসিক হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু এর আসল কারণটা শুনলে হয়তো আপনিও হেসে ফেলবেন। আমেরিকায় ভ্যাকসিন নিতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও ইংরেজি খুব একটা বলতেই পারেন না ভেবেছিলেন ডাক্তারদের ইংরেজী বলে ইমপ্রেস করে দেবেন। এখানেই বাঁধ সাধে।
ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে উল্টোপাল্টা ইংরেজি বলতে থাকেন অভিনেত্রী। এই দেখে আমেরিকার ডাক্তারের ভাবেন হয়তো মানসিক সমস্যা রয়েছে তাঁর। এরপর তাকে ভ্যাকসিন সেন্টার থেকে সোজা মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই কিছুদিন আটকে ছিলেন অভিনেত্রী। তবে বর্তমানে তিনি ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন।