বলিউডের বিখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)। গতবছর বলিউডের এই প্রযোজকের নাম জড়িয়েছিল স্বজনপোষণে। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডে স্বজনপোষণ নিয়ে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়, তখনি শিরোনামে চলে আসেন মহেশ ভাট। বিখ্যাত এই পরিচালকের জীবন অবশ্য বলিউডের কাহিনীকেও হার মানায়। দুইটি বিয়ে থেকে শুরু করে একাধিক নারীর সাথে সম্পর্কের মত গসিপ রয়েছে এই পরিচালকের বিরুদ্ধে।
মহেশ প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সন্তান পূজা ভাট (Puja Bhatt)। পূজা ভাটের কারণে বেশ কয়েকবার সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছেন মহেশ ভাট। এমনকি পূজার নিজের বাবার সম্পর্কে কিছু মন্তব্যে বিতর্কেরও সৃষ্টি করেছিল। সম্প্রতি পূজা ভাটের জন্মদিকে পূজা ভাট ও বাবা মহেশ ভাটের একটি সাক্ষাৎককারের ভিডিও পুনরায় ভাইরাল হয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করছে।
এমনিতেই পরিচালক মহেশ ভাটের বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক নিয়ে গুজব রয়েছে। সেই কারণে অনেক সময় পরিচালকের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যেমনটা জানা যায় মহেশ ভাটের প্রথম স্ত্রী ছিলেন লরেন। নিজের পরিচালনার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই লোরেনকে বিয়ে করেন মহেশ ভাট। বিয়ের জন্য নিজের নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেন লরেন, নাম বদলে তিনি লরেন হয়ে যান কিরণ ভাট (Kiran Bhatt)। এরপর বেশ কিছু বছর ঠিক থাকে ছিল সম্পর্ক।
বিয়ের চার বছরের মাথায় পূজার জন্ম হয়। মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে খুশি থাকলেও কিছুদিন পরেই সব কিছু পাল্টে যায়। বাড়িতে মেয়ে বউ থাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রী পারভিন বাবির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মহেশ। এরফলে স্বাভাবিক ভাবেই মেয়ে ও কিরণের সাথে দূরত্ব বেড়ে যায়। যদিও অভিনেত্রী পারভিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক টিকেছিল মাত্র ২ বছর। এরপর আবার প্রেমে পড়েন মহেশ ভাট। তবে, এখনো পর্যন্ত বিবাহিত ছিলেন মহেশ ভাট। কিরণের সাথে কোনোরকম বিবাহবিচ্ছেন হয়নি।
পারভীনের পর সোনি রাজদানের (Soni Razdan) প্রেমে পড়েন মহেশ ভাট। সোনির বাড়ির লোক এই সম্পর্কে রাজ না থাকায় নিজের দুজনে লুকিয়েই বিয়ে সেরে নেন। আরসোনির সাথে প্রেমের সম্পর্কের কথা মহেশ নিজেই মেয়ে পূজাকে জানিয়েছিলেন। একদিন মাঝরাতে পূজাকে ঘুম থেকে তুলে নিজের প্রেমে পড়ার কথা জানিয়েছিলেন মহেশ ভাট। বাবার প্রেমের সম্পর্কে কোনোপ্রকার বাধা দেননি পূজা। কিন্তু স্বভাবীভাবেই সোনিকে তার ও মায়ের থেকে বাবাকে কেড়ে নেবার জন্য দোষী মনে করতে শুরু করল পূজা।
তবে কিছুদিন পরে এই জটিলতা কাটে। পূজা ও তাঁর মা অর্থাৎ কিরণ নিজেদের মধ্যে কথা বলেন। কিরণ পূজাকে বোঝায় যে যেটা হয়েছে সেটা ভালোই হয়েছে। এরপর পূজাও বুঝতে পারে যে মায়ের সাথে বাবা মহেশ ভাটের সম্পর্ক না থাকতেই শ্রেয়। কারণ দুজনের মতের মিল নেই তাছাড়াও সম্পর্ক শুধুমাত্র নামের দায়ী টিকিয়ে রাখা যায় না। তাই মনে রাগ থাকলেও একসময় সৎ মা সোনি ও আলিয়াকে মেনে নেন পূজা।