নাম তো শুনাহি হোগা! ৭ নম্বর ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দেওয়া ছেলেটির নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি (Mahendra singh Dhoni) । প্রথম দেখেই সৌরভ যার প্রতি বিশ্বাস রেখে বলেছিলেন, ‘আমাদের দলে এক নতুন চাবুক ব্যাটসম্যান যোগ দিয়েছে। মিলিয়ে নিও, ও ভবিষ্যতের তারকা।’ হ্যাঁ সৌরভের কথা মিলিয়েই দেখিয়ে দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতিতেও মেজাজ না হারিয়ে একেবারে ঠান্ডা মাথায় কাজ করেন তিনি।
সৌরভের বাজি ধরা সেই ছেলেটির শুরুটাও কিন্তু আর পাঁচটা সাধারণ ছেলেটার মতোই তারও শুরুটা পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচ দিয়েই। কে জানত তার ব্যাট ঘোরানোতেই একদিন বিশ্বকাপ আসবে ভারতের ঘরে? সালটা ১৯৯৮, ধোনি তখন ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র। সেন্ট্রাল কোল ফিল্ড লিমিটেডের হয়ে সেই প্রথম ক্রিকেট খেলতে নামেন ধোনি। তখন প্রতি ছক্কা পিছু ৫০ টাকা করে পেতেন ধোনি। আর পাড়ার এক দাদার থেকে শেখা তার সেই বিখ্যাত হেলিকপ্টার শট।
আর তারপরেরটুকু সকলেরই জানা। তার ধৈর্য্য, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা, শেষ সময়েও দলকে জয়ের মুখ দেখিয়েছে।ভারতীয় ক্রিকেট দলকে কার্যত নিজের হাতে তৈরী করেছেন তিনি। ২০১১ সালে দেশে এনে দিয়েছেন ওয়ার্ল্ড কাপ। অধিনায়ক হিসেবে ধোনির ভক্ত নয় এমন ভারতীয় বোধহয় হাতে গুনে পাওয়া যাবে।
কিন্তু আজকের ক্রিকেটের রাজপুত্তুর একসময় ছিলেন ট্রেনের টিকিট কালেক্টর। ২০০১ সালে রেলের টিকিট চেকার ছেলেটা হঠাৎ ২০০৪ সালে গায়ে গলিয়ে নিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের জার্সি।হঠাৎই সকলকে চমকে দিয়ে রেলের চাকরি থেকে ইস্তফা নেন ধোনি। সরকারি চাকরি ছেড়ে ছুটতে থাকেন স্বপ্নপূরণের লক্ষে। চাকরি সেরে ফিরে ধোনি ক্রিকেট প্র্যাকটিস করতেন। তারপর একদিন তিনি বেশ বুঝলেন এই চাকরি তারজন্য নয়। তাই সবছেড়ে তিনি নিজের সম্পূর্ণ অধ্যাবসায় অর্পণ করলেন ক্রিকেটে। আর তারপরেই আমরা পেলাম ইন্ডিয়ার একজন সেরা ক্যাপটেনকে।
চাকরি ছাড়ার পর রেলমন্ত্রকের তরফে ধোনিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি ট্যুইট বার্তায় লেখা হয়েছিল, ” ভারতীয় রেলের চাকরি থেকে শুরু করে দেশকে গর্বিত করা একজন ক্যাপ্টেন, তোমাকে আমরা মনে রাখব একজন পারফরমার হিসাবে। “