মাস খানেক আগে স্টার জলসার (Star Jalsha) পর্দায় সম্প্রচার শুরু হয়েছে ‘বালিঝড়’ (Balijhor) ধারাবাহিকটির। কূটকচালি, পরকীয়ার ভিড়ে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনী নিয়ে শুরু হয়েছে এই সিরিয়াল। অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকমনে স্থান করে নিয়েছেন মহার্ঘ্য (Maharghya), ঝোড়া (Jhora), স্রোতরা। লীনা গাঙ্গুলীর এই ধারবাহিকের হাত ধরেই আবার পর্দায় ফিরেছেন ‘সৌগুন’ ম্যাজিক।
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র মুখ্য চরিত্র সৌজন্য এবং গুনগুনের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছিলেন কৌশিক রায় (Koushik Roy) এবং তৃণা সাহা (Trina Saha)। ‘বালিঝড়’এ তাঁদের দেখা যাচ্ছে যথাক্রমে মহার্ঘ্য এবং ঝোড়ার চরিত্রে। যদিও এখানে মহার্ঘ্যকে ভালোবাসে না ঝোড়া। বরং সে মন দিয়েছে স্রোতকে (ইন্দ্রাশিস রায়)।
যদিও স্রোতের সঙ্গে ঝোড়ার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি তাঁর বাবা তথা নামী রাজনীতিবিদ সমুদ্র সেন। সে বরাবরই চাইত তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট মহার্ঘ্যর সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে এবং শেষ পর্যন্ত তাই করে সে। মেয়ের ইচ্ছা না থাকলেও মহার্ঘ্যর সঙ্গেই তাঁর বিয়ে দেয় সমুদ্র সেন। বাবার চাপে পড়ে এবং স্রোতের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এই বিয়ে করলেও ঝোড়া মন থেকে মহার্ঘ্যকে স্বামী হিসেবে মেনে নেয়নি।
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকেই মহার্ঘ্যকে নানানভাবে অপমান করতো ঝোড়া। কিন্তু বিয়ের পর সেই অপমান শতগুণ বেড়ে গিয়েছে। এতদিন মুখ বুজে সকল অপমান মেনে নিয়েছে সে। তবে এবার শান্ত-ভদ্র মহার্ঘ্যর সহ্যের বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। তাই ঝোড়া অপমান করতেই সেও এবার পাল্টা জবাব দিয়ে দেয় তাঁকে।
‘বালিঝড়’এর সাম্প্রতিক একটি পর্বে দেখানো হয়েছে মহার্ঘ্য ঝোড়াকে বলে, ‘তোমার মতো মেয়ের জন্য মরতেও চাই না আমি’। একথা শুনে ঝোড়া অবাক হয়ে বলে, ‘আমার মতো মেয়ে বলতে?’ জবাবে মহার্ঘ্য সাফ বলে, ‘তুমি হচ্ছো বাবা-মায়ের আদরে বাঁদর হয়ে যাওয়া একটি মেয়ে যে সভ্যতা জানে না’।
এতদিন যে মহার্ঘ্য সকল অপমান চুপ করে মেনে নিত তাঁর মুখ থেকে এমন জবাব শুনে ঝোড়াও খানিক থতমত খেয়ে যায়। তবে স্ত্রীকে ‘বাঁদর’ বললেও মহার্ঘ্য কিন্তু নিজের স্ত্রীয়ের খেয়াল রাখতে কোনও খামতি রাখে না। আর এসব দেখেই মহার্ঘ্যর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। প্রত্যেকের একটাই কথায়, এতদিন ঝোড়ার মুখ থেকে ‘ধান্দাবাজ’, ‘লোভী’, ‘শয়তান’এর মতো প্রচুর অপমানজনক কথার একেবারে যোগ্য জবাব দিয়েছে মহার্ঘ্য।