জল্পনাতে শিলমোহর দিয়ে এবার সত্যিই শেষ হতে চলেছে বাংলা বিনোদন জগতের অন্যতম ভক্তিমূলক ধারাবাহিক মহাপীঠ তারাপীঠ। আজ থেকে তিন বছর আগে ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল সাধক বামাক্ষ্যাপা আর বড় মায়ের এই সফর। দীর্ঘ সফর শেষে গতকাল অর্থাৎ ১৫ ফ্রেব্রুয়ারিই হয়ে গেল এই ধারাবাহিকের শেষ দিনের শুটিং। একরাশ মন খারাপ নিয়েই শেষ দিনের শুটিংয়ের কিছু টুকরো মুহুর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছেন সিরিয়ালের কলাকুশলীরা।
প্রসঙ্গত ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ সিরিয়াল একটা সময়ে স্টার জলসার অন্যতম স্লট হোল্ডার ছিল। সিরিয়ালে মা তারার চরিত্রে অভিনেত্রী নবনীতা দাস আর তাঁর বরপুত্র বামা অর্থাৎ বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) অনবদ্য অভিনয় মন কেড়েছে সকল দর্শকদের। তিন বছরের দীর্ঘ সফরের যে শেষ হতে চলেছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই।
কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে মন খারাপের কথা জানিয়েছিলেন অভিনেতা সব্যসাচী রায়চৌধুরী। ফেসবুক পোস্টে অভিনেতা লিখেছিলেন ‘খারাপ সময়ে সামনে দাঁড়িয়ে লড়ে যেতে হয়, আর ভালো সময়ে চুপিসারে সরে যেতে হয়। জীবন আমায় এইটুকুই শিখিয়েছে।’ উল্লেখ্য গত ৩ বছরে সিরিয়ালটা শুধু কাজ নয়, সব্যসাচীর জীবনের একটা অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
চরিত্রের প্রয়োজনেই ওজন বাড়ানো থেকে অবিন্যস্ত চুল দাড়ি রেখেছিলেন সব্যসাচী। এমনকি বাড়িতেও মাঝে মধ্যেই বামাক্ষ্যাপার কায়দায় কথা বলে ফেলেন। সবমিলিয়ে এই তিন বছরে সব্যসাচীর জীবনে বামাক্ষ্যাপার প্রভাব পড়েছে বিস্তর। গতকাল সিরিয়ালের শেষ শুটিং সেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মর্মস্পর্শী পোস্ট করেছিলেন অভিনেতা।
সেখানে ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বড়মার একটি বাঁধানো ছবি আর ত্রিশূলের ছবি দিয়ে অভিনেতা লিখেছেন ‘আজ মহাপীঠ তারাপীঠের শুটিং শেষ করলাম।’ সেইসাথে সব্যসাচী লিখেছেন ‘আমি পেয়েছি আমার এতদিনের সঙ্গী রক্তবস্ত্র এবং ত্রিশূল, সাথে বড়মার এই ছবিটি।কাল থেকে আমি শুধুই সব্যসাচী। এদিন ফেসবুকে শেষ দিনের শুটিংয়ের বেশ কিছু টুকরো মুহুর্ত তুলে ধরেছেন মা তারা অভিনেত্রী নবনীতা দাসও।