বলিউডের (Bollywood) ইতিহাসের অন্যতম সেরা জুটিগুলির মধ্যে একটি হল ধর্মেন্দ্র (Dharmendra) এবং হেমা মালিনীর (Hema Malini) জুটি। তাঁরা একসঙ্গে বহু সুপারহিট সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁদের রসায়ন দর্শকদের বিশেষ পছন্দের। বলিপাড়ার এই তারকা জুটি অবশ্য বাস্তবেও স্বামী-স্ত্রী। আজকের প্রতিবেদনে সেই ধর্মেন্দ্র-হেমার প্রথম দেখার অজানা কাহিনীই (Dharmendra Hema Malini Unknown Love Story) তুলে ধরা হল।
বলিউডে ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ১৯৬০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’ ছবির মাধ্যমে। অপরদিকে হেমার ডেবিউ ছিল ‘স্বপ্নো কা সৌদাগর’ (১৯৬৮)। তবে বলি অভিনেতা যখন হেমাকে প্রথম দেখেছিলেন, তখনও কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে কেরিয়ার শুরু হয়নি তাঁর এবং জানিয়ে রাখি, প্রথম দেখাতেই ১৩ বছরের ছোট হেমাকে মন দিয়ে ফেলেছিলেন ৪ সন্তানের পিতা ধর্মেন্দ্র।
বলি সুন্দরী ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখার স্মৃতি নিজের আত্মজীবনী ‘হেমা মালিনীঃ বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’ ছবিতে শেয়ার করেছেন। বলি সুন্দরী জানান, তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯৬৫ সালে। কে এ আব্বাসের সিনেমা ‘আসমান মহল’এর প্রিমিয়ারে প্রথমবার একে অপরকে দেখেছিলেন তাঁরা।
হেমা নিজের আত্মজীবনীতে জানিয়েছিলেন, তাঁর মেন্টর তথা প্রোডিউসর বি.অনন্তস্বামী তাঁর মা’কে বলেছিলেন হেমাকে নিয়ে বড় বড় ছবির প্রিমিয়ারে যাওয়ার কথা। ওনার মতে, এভাবেই ইন্ডাস্ট্রির লোকেদের নজর পড়বেন হেমা এবং তাহলেই সে আস্তে আস্তে কাজের সুযোগ পাবে। হেমার মা অবশ্য জানতেন না প্রিমিয়ার কাকে বলে।
বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’ বলেন, তিনি ‘আসমান মহল’ ছবির প্রিমিয়ারে নিজের মায়ের সঙ্গে গিয়েছিলেন। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ধর্মেন্দ্র এবং শশী কাপুরও। ছবির প্রিমিয়ারে কাঞ্জিভরম শাড়ি এবং চুলে ফুল লাগিয়ে গিয়েছিলেন বলি সুন্দরী। অভিনেত্রী বলেন, ছবির ইন্টারভালের সময় ছবির সঙ্গে জড়িত মানুষ এবং শিল্পীদের ছবি কেমন লাগল তা জানানোর জন্য ডাকা হয়েছিল। তখনই হেমা যখন স্টেজে উঠতে যাচ্ছেন, সেই সময়ই তিনি শুনতে পান ধর্মেন্দ্র শশী কাপুরকে পাঞ্জাবিতে বলেছিলেন, ‘মেয়েটি বেশ সুন্দরী’।
জানিয়ে রাখি, ১৯৫৪ সালে ধর্মেন্দ্র প্রকাশ কৌরের সঙ্গে সাত পাক ঘুরেছিলেন। তাঁদের ৪ সন্তান রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও হেমার প্রেমে এতটাই পাগল হয়ে গিয়েছিলেন অভিনেতা যে ১৯৮০ সালে তাঁর সঙ্গে সাত পাক ঘোরেন তিনি। ধর্মেন্দ্র এবং হেমার দুই মেয়ে আছে। তাঁদের নাম হল এষা এবং অহনা দেওল।