বিনোদন জগতের সাথে বাংলা সিরিয়ালের সম্পর্ক আজকের নয়। তবে সময়ের সাথে সাথে বদলেছে দর্শকদের রুচি আর চাহিদা। দর্শকদের এই নিত্যনতুন চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দিনে দিনে বিনোদন জগতে এসে হাজির হচ্ছে একের পর এক ভিন্ন স্বাদের সিরিয়াল। তেমনই গত মাসেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’ (Lokkhi Kakima Superstar)।
আর এই ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান ইউএসপি হলেন স্বয়ং লক্ষ্মী কাকিমা অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। এই সিরিয়ালের হাত ধরেই দীর্ঘ ৪ বছর পর ছোট পর্দায় কামব্যাক করেছেন তিনি। আর আজকালকার দিনে সিরিয়াল গুলির শেষ কথা হল টিআরপি। এই সাপ্তাহিক টিআরপি রেটিংয়ের উপরেই নির্ভরশীল যেকোন ধারাবাহিকের সাফল্য।
এই কারণেই দিনের পর দিন টিআরপি রেটিং তলানিতে ঠেকার জেরে ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে একের পর এক নতুন পুরনো জনপ্রিয় ধারাবাহিক। তাই সবমিলিয়ে আজকাল একেবারে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে এই টিআরপি রেটিং। তবে এই টিআরপি স্কোর কি কোনভাবে একটি ভালো সিরিয়াল কিংবা একজন দক্ষ অভিনেত্রীর অভিনয়ের মাপকাঠি হতে পারে?
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন পর্দার লক্ষ্মী কাকিমা অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি চার বছর পর ধারাবাহিকে অভিনয় করছি, এর মধ্যে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে। তবে আমি ২৫ বছর ধরে অভিনয় করছি বা দেবশংকর হালদার ৩৫ বছর অভিনয় করছেন। আমাদের মূল্যায়ন নিশ্চই টিআরপি দিয়ে হবে না।”
এবার অভিনেত্রী নিজেই বলে ওঠেন “এবার প্রশ্ন আসছে, মানুষ কী ভালোবাসছে? যেহেতু টিআরপি-র উপর একটা চ্যানেলের অনেক কিছু নির্ভর করে, তখন যে গল্পটা প্রথমে ছিল, মানুষের পছন্দ মতো সেটা পরিবর্তন করতে বাধ্য হন নির্মাতারা। কিংবা অনেক ক্ষেত্রে মূল গল্পে ফিরে আসতে পারেন না।” এরপরই পর্দার লক্ষ্মী কাকিমার আরও সংযোজন “তবে এটাও আমি সব সময় মানতে পারি না। কারণ আমার এই দর্শকই ‘এক আকাশের নীচে’, ‘তমসা রেখা’, ‘গানের ওপারে’ বা ‘কুরুক্ষেত্র’-র মতো ধারাবাহিক দেখেছে এবং এখনও দেখছে। সুতরাং অনেক ক্ষেত্রে হয় ঠিকই। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও হয়।”