কর্মব্যস্ত জীবনে দর্শকদের বিনোদনের অন্যতম অঙ্গ হল সিরিয়াল। দিনে দর্শকমহলে হু হু করে বাড়ছে বাংলা সিরিয়ালেরচাহিদা। আর তা হবে নাই বা কেন! দর্শকদের মনের ক্লান্তি দূর করতে কিন্তু বিনোদনমূলক সিরিয়াল গুলির জুড়ি মেলা ভার। দর্শকদের রোজকার বিনোদনের চাহিদা পূরণ করতে এখনকার দিনে সপ্তাহজুড়ে চলতে থাকে নিত্যনতুন সিরিয়ালের মেলা।
জি বাংলার পর্দায় সম্প্রচারিত এমনই একটি ভিন্ন স্বাদের সিরিয়াল হলো লক্ষী কাকিমা সুপারস্টার (Lokhi Kakima Superstar) এখনকার দিনে কম বেশি সব সিরিয়ালই মূলত নারীকেন্দ্রিক হয়ে থাকে। আর এক্ষেত্রে দেখা যায় বেশিরভাগ চরিত্রই উঠে আসছে একেবারে বাস্তবের মাটি থেকে। লক্ষীকাকিমার এই সিরিয়ালও তাই।
এই কারণেই একেবারে বাস্তব জীবন থেকে উঠে আসা মাঝবয়সী লক্ষীকাকিমার সারল্য,তার ব্যবসায়িক বুদ্ধি,একহাতে গোটা সংসারের হাল ধরা এই সবটাই একেবারে শুরু থেকেই মন ছুঁয়ে গিয়েছে বাংলার সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের। এই সিরিয়াল শুরু থেকেই একেবারে মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের গল্প বলে। এই সিরিয়ালের অন্যতম মূল ইউএসপি সিরিয়ালের নায়িকা অর্থাৎ লক্ষী কাকিমা অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য নিজেই।
কিন্তু ঠিক যে মুহূর্তে ফিতে কেটে লক্ষি তার লক্ষিভান্ডারের উদ্বোধন করতে যাবে তখনই একটা বোম ব্লাস্টে হটাৎ করেই চোখের সামনে নিমেষের মধ্যে উড়ে যায় স্বপ্নের লক্ষী ভান্ডার। সবটাই আসলে হংসেনির বাবার করা ষড়যন্ত্র। আসলে অল্প দিনের মধ্যেই লক্ষ্মী কাকিমার এই উন্নতি একেবারে সহ্য করতে পারছে না হংসিনীর বাবা। তাই আটটি স্টোর বোম ব্লাস্টে উড়িয়ে দিয়েছে সে। এর মধ্যে এমন সময় হংসিনী চিৎকার করে জানায় এই আটটি স্টোরের মধ্যে সোনারপুরের স্টোরে রয়েছে দুলাল বাবু। একথা শোনার পর মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে লক্ষীকাকিমার।