একসময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম পরিচিত মুখ অভিনেতা লোকেশ ঘোষ (Lokesh Ghosh) । তবে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার লড়াইয়ে এখন একপ্রকার হারিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। কালের নিয়মে অভিনেতা ট্যাগ ফিকে হতে থাকায় পরবর্তীতে তার নামের সাথে জুড়েছে প্রযোজক শব্দ টা। অভিনয় জগত থেকে বিদায় নিলেও প্রযোজক হিসাবে অনেকদিন আগেই সেকেন্ড ইনিংস শুরু করেছেন লোকেশ।
বর্তমানে নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থাও খুলেছেন তিনি। জানা যায় ১৯৯৫ সালে অঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরেই ‘নাচ নাগিনী নাচ’ সিনেমা দিয়েই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় তার। এরপর ২০০৯ সাল পর্যন্ত একচেটিয়াভাবে অভিনয় করলেও ধীরে ধীরে কাজ কমতে থাকে তার। এরপর এমন একটা সময় আসে যখন ইন্ডাস্ট্রি থেকে একপ্রকার নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরবর্তীতে কামব্যাক করলেও,তা করেন প্রযোজক হিসাবে।
একটা সময় হিরো হওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটা ছবিতে সেকেন্ড লিডও করছেন। সেসময় বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ছিল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Prosenjit Chatterjee) রমরমা। তখন তার সাথেই বেশ কয়েকটি ছবিতে সেকেন্ড লিড রোলে অভিনয় করেন লোকেশ। কখনও প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইয়ের চরিত্রে আবার কখনও বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যেত তাকে। তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা ছিল ‘দাদার আদেশ’।
এরপর ধীরে ধীরে বদলাতে শুরু করে দর্শকদের রুচি। এখন সিনেমার ধরন বদলেছে। সেই সাথে ঘুচে গিয়েছে বাণিজ্যিক ছবি এবং প্যারালাল সিনেমার বিভাজন । তাই দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে সিনেমা বানাতে নিত্য নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন পরিচালকরা।আর প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মানেই ইন্ডাস্ট্রি। তাই সেখানেও পরিচালকদের প্রথম এবং শেষ পছন্দ বুম্বাদা।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে শ্রীলেখা মিত্র , এবং অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতা অভিনেত্রীরা তাঁদের সমসামিয়ক সময়ে স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে একাধিকবার কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কে। তবে সমসাময়িক অভিনেতা হয়েও উল্টো সুর শোনা গেল লোকেশের গলায়। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেছেন,‘আমি কখনও বুম্বাদাকে স্বজনপোষণ (Nepotism) করতে দেখেনি।আমি যদি বুম্বাদার জায়গায় থাকতাম কনট্রাক্ট করিয়ে অভিনেতা অভিনেত্রী বাছতাম, যদিও বুম্বাদাকে তেমন কিছু করতে কখনই দেখিনি।’