সপ্তাহের শেষে টিভির পর্দায় দর্শকদের জন্য সাজানো থাকে মনোরঞ্জনের নিত্যনতুন পশরা। গত সপ্তাহেই দর্শকদের সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে হাজির হয়েছে দাদাগিরি সিজন ৯। করোনা সংক্রমণের জেরে অনান্য বারের তুলনায় এবার অনেকটা দেরিতেই শুরু হয়েছে সৌরভ গাঙ্গুলির দাদাগিরি। করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সেকথা মাথায় রেখেই এবছর দাদাগিরির থিম ‘হাত বাড়ালেই বন্ধু হয়।’
প্রতি সপ্তাহেই দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হন বিশেষ অতিথিরা। আর আজ ২রা অক্টোবর, অর্থাৎ মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। আর গান্ধী জয়ন্তীর এই বিশেষ দিনে দাদাগিরির মঞ্চে দল বেঁধে হাজির হয়েছেন খুদে মনিষীর দল। সেই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী,নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, তেমনি রয়েছেন ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ, স্বামী বিবেকানন্দ, রাজা রামমোহন রায় এবং মাদার টেরেসা।
বরাবরই বাচ্চাদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করতে ভালোবাসেন সৌরভ গাঙ্গুলি। এর আগে শোয়ে যতবার বাচ্চারা এসেছে ততবারই হাসি, গল্প আর মজার প্রশ্ন উত্তরে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছে সবাই। চলতি সিজনেও যে তার ব্যাতিক্রম হবে না তা বলাই বাহুল্য। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে এই পর্বের নতুন প্রোমো। সেই প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে খুদে মণীষীদের মজার মজার প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে হাসতে পেটে খিল ধরার জোগাড় হয়েছে স্বয়ং মহারাজের।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নেতাজির বেশে দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছে এক মিষ্টি গোলুমলু খুদে নেতাজি। তাকে সৌরভ গাঙ্গুলী প্রশ্নের উত্তর দিতেও দেখা যাচ্ছে।আবার সেও উল্টে প্রশ্ন করছে দাদাকে। সে জানতে চায় তাঁকে (সৌরভকে) কে জামাকাপড় কিনে দেয়? উত্তরে সৌরভও মজা করেই জানান এগুলো তাঁর মা কিনে দিয়েছেন।
View this post on Instagram
কিছুক্ষণ পরেই দেখা যায় খেলতে মাটিতে বসে পড়ছে খুদে নেতাজি,গান্ধিজিরা। তখন মজার ছলে দাদা বলে ওঠেন যে, দাদাগিরি এমন এক শো যা গান্ধিজি, নেতাজিকেও বসিয়ে দেয়। এছাড়াও সামনে এসেছে ঝাঁসির রানির সাজে থাকা মিষ্টি খুদের সাথে দাদার কথোপকথন। সে দাদাকে জানায় তাঁর মিঠাইকে খুব পছন্দ। মিঠাই (Mithai) নাকি তাঁর মতোই পাকা।