সম্প্রতি ২৫শে অগাস্ট মুক্তি পেয়েছে ‘লাইগার’ (Liger) ছবিটি। এই ছবি দিয়েই বলিউডে ডেবিউ করলেন দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবরাকোন্ডা (Vijay Devrakonda)। কিন্তু হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে প্রথম ছবিতে সেভাবে ফল করতে পারেননি অভিনেতা। দর্শকদের কিছুজনের পছন্দ হলেও বেশিরভাগই মুখ ফিরিয়েছেন। ১৭৫কোটি টাকা খরচ করে তৈরী সিনেমা হলেও রিলিজের পর ৫ দিনে মাত্র ১৯ কোটি পেরিয়েছে বক্স অফিস কালেকশন।
এমনকি বিশেষজ্ঞদের মতে হয়তো ২০-২১ কোটির মধ্যেই শেষ হবে ছবির কালেকশন। পাশাপাশি সাউথ ইন্ডাস্ট্রি থেকে বলিউডে এসে ফ্লপ হওয়া অভিনেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন বিজয় দেবরাকোন্ডা। তবে এতো গেল বলিউড, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে কেমন চাহিদা অভিনেতার? আগের ছবিগুলো সুপারহিট নাকি সেখানেও ফ্লপ! চলুন জেনে জেওয়া যাক বিজয় দেবরাকোন্ডার ফিল্মি ইতিহাস (Filmy Carrier)।
২০১১ সালে প্রথম দক্ষিণি ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন বিজয় দেবরাকোন্ডা। প্রথম ছবি ‘নুভিলা’ সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি দর্শকদের মনে। এরপর পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে ‘লাইফ ইস বিউটিফুল’ ছবিতে কাজ করেন। এখত্রেও সেভাবে সাফল্য জোটেনি।
এরপর দু বছরের বিরতি শেষে ২০১৫ সালে নাগ অশ্বিন পরিচালিত ‘ইয়েভেদে সুব্রামনিয়াম’ ছবিতে কাজ করেন তিনি। এই ছবিটি আগের দুটি ছবির তুলনায় ভালো ব্যবসা করে। এরপর ২০১৬ সালে ‘পেল্লি চোপলু’ ছবিতে ড্যাশিং হিরোর চরিত্রে দেখা যায় বিজয়কে। এই ছবিটি ব্লকবাস্টার হয় হয়ে যায় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে। মাত্র ১ কোটির বাজেটে তৈরী ছবিটি ৩০ কোটি টাকা তুলেছিল।
২০১৬তে হিট ছবি দেওয়ার পর ২০১৭ সালে দ্বারকা ও অর্জুন রেড্ডি ছবিতে কাজ করেন। অর্জুন রেড্ডি ছবি থেকেই পরবর্তীকালে বলিউডে কবির সিং রিমেক তৈরী হয়েছিল। এই ছবিটি হিট হয় ও ৫০ কোটি টাকার বক্স অফিস কালেকশন করে। এরপর ২০১৮ সালে মোট ৬টি ছবিতে কাজ করেন তিনি। যার মধ্যে কেবল মাত্র একটি ছবি ‘গীতা গোবিন্দম’ হিট হয়। এরপর ২০১৯ ও ২০২০ সালে দুটি করে মোট চারটি ছবিতে কাজ করেন, যার মধ্যে একটি মাত্র ছবি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল।
অর্থাৎ ফিল্মি কেরিয়ারে মোট ১৬টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। যার মধ্যে মাত্র ২টি ছবিই ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল। এরপর বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছেন। তবে বলিউডে পা রাখার প্রথম ছবি যে খুব ইটা সফল হয়নি বরং বিপর্যয়ের তালিকায় গিয়েছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে। তবে বিজয়ের অভিনয়ের প্রশংসায় করেছেন দর্শকেরা, উল্টে অনন্যার অভিনয়কে জঘন্য বলা হয়েছে।