• Srabanti Chatterjee Viral Video শ্রাবন্তী
  • অনুরাগের ছোঁয়াঅনুরাগের ছোঁয়া
  • নুসরত জাহান নুসরত
  • ফুলকিফুলকি
  • শুভশ্রীশুভশ্রী
  • ইচ্ছে পুতুলইচ্ছে পুতুল
  • নিম ফুলের মধুনিম ফুলের মধু
  • কার কাছে কইকার কাছে কই

১১ বছর বয়সে ভাঙে সংসার, শেষ জীবনে পাশে ছিল না কেউ! ছায়া দেবীর করুণ কাহিনী চোখে জল আনার মত

Published on:

Take a look at the life story of famous actress Chhaya Devi

ছায়া দেবী (Chhaya Devi) মানেই কপালে একটা বড় লাল কিংবা খয়েরি রঙের টিপ। মেহেন্দি করা চুলের খোপা, নাক থেকে ঠিকরে বেরোচ্ছে নাকছাবির ঝলক আর সঙ্গে একটা বাহারি বটুয়া। স্বর্ণযুগের নামী অভিনেত্রী ছিলেন ছায়া দেবী। দীর্ঘ ছয় দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্র দুনিয়ায় দাপিয়ে কাজ করেছেন তিনি। বাংলা ছবি যখন সদ্য কথা বলতে শিখেছে তখন অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। এরপর দশকের পর দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন।

আজকের এই প্রতিবেদনে সেই ছায়া দেবীর জীবনেরই বেশ কিছু অজানা কাহিনী জেনে নেব। ১৯১৪ সালের ৩ জুন, ভাগলপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ছায়া দেবী। ভালো নাম ছিল কনকবালা গাঙ্গুলী। পিতার নাম হারাধন গাঙ্গুলী। ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়া শেখা শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তখনকার সমাজের বাল্যবিবাহ প্রথা তাঁর জীবন একেবারে বদলে দেয়।

Chhaya Devi

মাত্র ১১ বছর বয়সে ভূদেব চট্টোপাধ্যায় নামে রাঁচির এক অধ্যাপকের সঙ্গে পরিণয় সূত্রে বাঁধা পড়েছিলেন ছায়া দেবী। জানা যায়, তাঁর স্বামীর সংসারের প্রতি একেবারেই মন ছিল না। তাই জীবনে কোনোদিন সংসার করতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত শ্বশুর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান কনক।

তবে সংসার না করতে পারলেও ভেঙে পড়েননি ছায়া দেবী। বাপের বাড়ি ফিরে এসে ফের পড়াশোনা শুরু করলেন তিনি। এরপর পিতার বদলির চাকরির জন্য ভাগলপুর ছেড়ে দিল্লি চলে যান। সেখানে গিয়েও পড়াশোনা শুরু করে দেন। সেই সঙ্গে গান শেখাও শুরু করেন। এরপর পিতার চাকরির সৌজন্যে কলকাতা আসার পর কিংবদন্তি মান্না দে’র কাকা নামী শিল্পী কৃষ্ণচন্দ্র দে’র সান্নিধ্যে এসে সঙ্গীত চর্চা শুরু করেন তিনি। এই সময় দুই পিসতুতো দাদার সঙ্গও পেয়েছিলেন ছায়া দেবী। আর তাঁদের সৌজন্যেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখেন কনক।

Chhaya Devi

অভিনেত্রীর দাদারা বুঝতে পেরেছিলেন সংসার না করতে পারার একটা কষ্ট বোনের মনে রয়েই গিয়েছে। আর সেই শূন্যতা ভরাট করার উপায় হিসেবেই অভিনয়ের কথা মাথায় আসে তাঁদের। ছায়া দেবী পিসতুতো দাদার এক বন্ধু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ম্যানেজার ছিলেন। তাঁর থেকে খবর পেয়েই বোনকে ‘পথের শেষে’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পাঠিয়ে দেন তাঁরা। এই ছবি দিয়েই পথ চলা শুরু ছায়া দেবীর।

‘পথের শেষে’ ছবিতে ছায়া দেবীর অভিনয় ভালো লেগেছিল দেবকী কুমার বসুর। তিনি অভিনেত্রীকে ‘সোনার সংসার’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ করে দেন। এরপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। ‘ঘনা’, ‘রজনী’, ‘প্রতিশোধ’-সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেতে থাকেন ছায়া দেবী।

Chhaya Devi

তবে কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে থাকতেই আচমকা সব ছেড়ে ফের ভাগলপুরের উদ্দেশ্যে পারি দেন অভিনেত্রী। দামোদর মিশ্রের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের তালিম নিতে শুরু করেন তিনি। এই সময় রেডিওতেও গান গেয়েছিলেন স্বর্ণযুগের বাংলা সিনেমার এই নামী নায়িকা। তবে পরিচালক সুশীল মজুমদারের অনুরোধে ফের চলচ্চিত্র দুনিয়ায় প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।

অভিনয় কেরিয়ারের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছিলেন ‘অভয়ের বিয়ে’ ছবি দিয়ে। এরপর ‘রাজা রামমোহন’, ‘রাজকুমারী’, ‘সপ্তপদী’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’-সহ একাধিক সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছায়া দেবীর অভিনয় করা সিনেমার সংখ্যা ১০০’রও বেশি। নায়িকা থেকে শুরু করে মায়ের চরিত্র সবেতেই দক্ষতার সঙ্গে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে সেই ছায়া দেবীরই শেষ জীবন একাকীত্বে কেটেছিল। শেষে ২০০১ সালের ২৭ এপ্রিল সেরিব্র্যাল অ্যাটাকের কারণে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

design-and-ux/mobile-first Created with Sketch. Join Us ➥