কথায় আছে গানের ভাষায় জাদু রয়েছে যা দিয়ে সমস্ত দুঃখ কষ্ট ভুলে থাকা যায়। আর এই গানের জাদুকেই দীর্ঘ সাত দশক ধরে নিজের সুরে অনবদ্য করে তুলেছিলেন সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। আজ সকালেই ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন তিনি। মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়েই মারা যান লতা। আজ সঙ্গীতের জগৎ শূন্য করে পৃথিবীব্যাপি কোটি কোটি শ্রোতাদের মন ভেঙে দিয়ে চলে গেলেন গায়িকা।
একসময় মাত্র ২৫ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েই প্রথম কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর শুরে জাদুতে মুগ্ধ হতে থাকেন শ্রোতারা। গোটা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পরে তার গানের জাদু, সঙ্গীত জগতের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি। ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্জন করেছেন বিশাল সম্পদও।
লতাজির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার, যেটা ভারতীয় টাকায় ৩৬৮ কোটি টাকা। মুম্বাইয়ের বিলাসবহুর জায়গা পেদার রোডে থাকতেন সুর সম্রাজ্ঞী। তার বাড়ির নাম ‘প্রভু কুঞ্জ’। বিলাসবহুল বাড়ির পাশাপাশি দামি গাড়ির পছন্দ করতেন লতা। শেভ্ৰলেট, বুইক এর মত একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে তার। ২০০৪ সালে পরিচালক ও প্রযোজক যশ চোপড়া ‘বীরজারা’ ছবির জন্য একটি মার্সিডিজ উপহার দেন লতাজিকে।
১৯২৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর ইন্দোরের এক মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন লতাজি। বাবা ছিলেন দীননাথ মঙ্গেশকর, বিখ্যাত নাট্য অভিনতা ও গায়ক। তাই খুব ছোট থেকেই সঙ্গীতের প্রতি ছোট থেকেই টান ছিল। ‘মহল’ নামের ছবিতে প্রথম হিন্দি ছবির জন্য গান রেকর্ড করেন শিল্পী। এরপর ১৯৪৯ সালে ‘আয়েগা আসেওয়ালা’গানের জেরেব্যাপক জনপ্রিয়হন তিনি।
তিনিই একমাত্র গায়িকা যিনি অজস্র ভাষায় প্রায় ৫০ হাজার গান রেকর্ডিং করেছিলেন। এর জন্য গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম রয়েছে তাঁর। এছাড়া ২০০১ সালে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’ দেওয়া হয় তাকে। শংকর জয় কিশান, আর ডি বর্মন, শচীন দেববর্মণ, সলিল চৌধুরী, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় দের মত ব্যক্তিত্বদের সাথে কাজ করেছেন লতা মঙ্গেশকর।