বাংলার টেলিভিশন জগতে সিরিয়ালপ্রেমী দর্শকদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি নাম হল লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। এই মুহূর্তে বাংলার প্রথম সারির বিনোদনমূলক চ্যানেল স্টার জলসার একাধিক জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালের (Mega Serial) লেখিকা তিনি। শুধু তাই নয় আরও একাধিক পরিচয় রয়েছে তাঁর। তিনি হলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্য থেকে অত্যন্ত সফল একজন প্রযোজক।
এতকিছু সামলেই তিনি এই মুহূর্তে বাংলা ইন্ডাস্ট্রির ব্যাস্ততম চিত্রনাট্য লেখিকা (Script Weitter)। বর্তমানে তাঁরই লেখা একাধিক সিরিয়াল রমরমিয়ে চলছে টিভির পর্দায়। প্রসঙ্গত এখন দিনে দিনে দর্শকমহলে বাড়ছে বাংলা সিরিয়ালের চাহিদা। তাই দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এখন সিরিয়ালের বিষয়বস্তুতেও আনা হচ্ছে নতুনত্ব। বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু করে রাত এগারোটা পর্যন্ত প্রতিদিন বাংলার প্রত্যেক বাড়ির ড্রয়িং রুমে বসে একের পর এক ভিন্ন স্বাদের সিরিয়ালের মেলা।
দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ারে লিনা গাঙ্গুলী দর্শকদের উপহার দিয়েছেন একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়াল। তার মধ্যে অন্যতম ইষ্টিকুটুম, জল নূপুর, ইচ্ছেনদী, কুসুমদোলা, মোহর, পুন্যি পুকুর, কোজাগরি, নকশি কাঁথা, শ্রীময়ী, খড়কুটো ইত্যাদি।তবে ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে বেশিরভাগ সিরিয়ালেই এই লেখিকা হয় তাঁর নায়িকাদের শাড়ি পরিয়ে থাকেন।
কারণ লেখিকা মনে করেন শাড়িতে নায়িকাদের দেখলে দর্শকরা নিজেদের সাথে বেশি রিলেট করতে পারবেন। কারণ সিরিয়ালের যারা দর্শক তারা নিজেরাও এই পোশাকেই অনেক বেশি অভ্যস্ত। শুধু তাই নয় লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়ালে নায়িকাদের পরা শাড়ি বাংলার দর্শকদের কাছে স্টাইল স্টেটমেন্টের অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়ায়। উদাহরণ হিসাবে প্রথমেই মনে আসে ‘ইষ্টি কুটুম’ সিরিয়ালের বাহা শাড়ি।
সে সময় বোধ হয় রাজ্যের এমন কোন মহিলা ছিলেন না যারা এই শাড়ি কেনেননি। সম্প্রতি পুজোর আগেই আনন্দবাজার অনলাইনের সাথে শাড়ি নিয়ে একটি একান্ত সাক্ষাৎকারে বসে ছিলেন লেখিকা। ব্যস্ত শিডিউলের মধ্যেও শাড়ি লীনা গাঙ্গুলীর জীবনের সাথে জড়িয়ে রয়েছে ওতপ্রোতভাবে। সকালবেলা উঠে সিরিয়ালের গল্প লেখার কাজ থেকে শুরু করে রাজ্যের মহিলা কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন সবসময়ই শাড়িতেই দেখা যায় তাঁকে। তাঁর কাছে শাড়ির কালেকশান রয়েছে দেখার মতো।
সারাদিনের তুমুল ব্যস্ততার মধ্যেও শাড়ি তাঁর অন্যতম প্যাশন। শাড়ি তাঁর কাছে একটা ভারতবর্ষ। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শাড়ির কালেকশন রয়েছে লেখিকার কাছে। তাঁর একটা আস্ত আলমারি জুড়ে কোন তাকে রয়েছে লাল-কালো শাড়ি,তো কোন তাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের ঢাকাই জামদানি। আবার একটা তাকে রয়েছে বিভিন্ন সাদা শাড়ির কালেকশন। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে শাড়ির একটা আস্ত মিউজিয়াম বানিয়ে ফেলতে পারেন তিনি। তবে বিভিন্ন রঙের শাড়ির মধ্যে লেখিকার পছন্দ সাদা রং। কারণ তিনি মনে করেন সাদা সবার প্রথমে নজর কাড়ে। লীনা গাঙ্গুলির বিশাল শাড়ির সম্ভারের মধ্যেই বেশ কিছু শাড়ি রয়েছে উপহারে পাওয়া। আবার বেশ কিছু শাড়ি রয়েছে লেখিকার মায়ের।