বাঙালি দর্শকদের প্রিয় সিরিয়ালের মধ্যে অন্যতম একটি হল ‘খড়কুটো’ (Khorkuto)। সিরিয়ালের গুনগুন ও সৌজন্য জুটির জনপ্রিয়তা রয়েছে ব্যাপক। তবে শুরুতে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও ২ বছর পেরিয়ে সিরিয়ালের টিআরপি (TRP) কমেছে অনেকটাই। আর টিআরপি কম মানেই সিরিয়ালের ভাগ্যে জোটে খাঁড়া। বিগত কয়েক মাসে একাধিক সিরিয়াল শেষ হয়েছে, বদলে একঝাঁক নতুন গল্প আরম্ভ হয়েছে। আর এবার গুনগুনের মৃত্যু দিয়ে শেষ হচ্ছে খড়কুটো সিরিয়াল।
লেখিকা লীনা গঙ্গপাধ্যায়ের (Leena Gangu;y) সিরিয়াল ‘খড়কুটো’। শুরুতেই দর্শকদের মন জিতে নিয়েছিল অগোছালো আর ডানপিটে স্বভাবের গুনগুন। অন্যদিকে গোমড়ামুখো হলেও সৌজন্যও দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সিরিয়ালে গুনগুনের চরিত্রে অভিনয় করছেন তৃণা সাহা (Trina Saha) আর সৌজন্যের চরিত্রে কৌশিক রায় (Kaushik Roy)। একেবারে অপছন্দ থেকে আজ একাত্মা হয়ে গিয়েছিল দুজনে।
ইতিমধ্যেই সিরিয়ালের শেষ সম্প্রচারের সম্ভাব্য তারিখও প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে ১৭ই অগাস্ট শেষ শুটিং হয়ে গিয়েছে। আগামী বুধবার অর্থাৎ ২৩শে অগাস্টই শেষ হচ্ছে সিরিয়াল। কিন্তু শেষটা যে এতটা বেদনাদায়ক হবে সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দর্শকেরা। ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়েছিল গুনগুন। মরণ বাচন পরিস্থিতিতেই ভর্তি হয় হাসপাতালে তারপর অপারেশন হয়। কিন্তু গুনগুন আর ফেরেনি, চোখের জলেই বিদায় জানিয়েছে সে।
প্রিয় গুনগুন চলে যাওয়ায় রীতিমত শোকাহত নেটিজেনরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে শোকের ছায়া নেমেছে। দর্শক তো বটেই ফ্যান পেজগুলিতে মৃত্যুশয্যায় গুনগুনকে দেখে ক্ষোভে ফুঁসেছেন নেটিজেনদের একাংশ। কেন হ্যাপি এন্ডিং হল না খড়কুটোর? এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। হাসি খুশি একটা পরিবারের কাহিনী কেন এভাবে দুঃখ দিয়ে শেষ হল! নেটমাধ্যম ভরে গিয়েছে কটাক্ষে।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে খড়কুটো লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কেন এমন শেষ হল? এই লেখিকা জানান, পছন্দের চরিত্র চলে গেলে কষ্ট হবেই। কিন্তু লিখছেন তাঁরও তো একটা ইচ্ছা অনিচ্ছা থাকে। তাই যখন গল্প তৈরী হয় সেই সময়েই ঠিক হয় যে কোন চরিত্রের যাত্রা কোথায় গিয়ে শেষ হবে।লেখায় তো আর গণতন্ত্র চলে না।
যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে মোটেই সক্রিয় নন লেখিকা, তবে ট্রেন্ডিং বিষয়ে খবর তিনি রাখেন। গুনাগুনের মারা যাওয়া নিয়ে নেটপাড়ায় যে প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে তাও লেখিকার কাছে অজানা নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার মনে হয়েছিল এমন কিছু হলেই মানুষ গুনগুনকে মনে রেখে দেবে। সেই ভেবেই এটা করা। সবকিছুরই তো একটা শেষ আছে, জীবন তো আর থেমে থাকে না, এগিয়ে যায়। তবে সিরিয়ালের শেষে একটা টুইস্ট আছে যেটা দর্শকদের দুঃখ কিছুটা কমিয়ে দেবে। তার যে অন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’