এই মুহূর্তে বাংলার সিরিয়াল প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি নাম হল লীনা গঙ্গোপাধ্যায় (Leena Ganguly)। বাংলার প্রথম সারির বিনোদনমূলক চ্যানেল স্টার জলসার একাধিক জনপ্রিয় মেগা সিরিয়ালের লেখিকা তিনি। বর্তমানে তাঁরই লেখা সিরিয়াল ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona) বেঙ্গল টপার। এই সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা লালন ফুলঝুরির বিয়ে ঘিরে চূড়ান্ত নাটকীয় পর্ব এক ধাক্কায় টিআরপি তালিকায় সেরার মুকুট এনে দিয়েছে এই সিরিয়ালটিকে।
যার ফলে একসময়ের বেঙ্গল টপার সিরিয়াল মিঠাই এবং গাঁটছড়া এখন পড়ে গিয়েছে পিছনে। ধূলোকণা সিরিয়ালের নায়ক নায়িকা লালন (Lalon),ফুলঝুরির (Phuljhuri) বিয়ে দেখার জন্য হাপিত্যেস করে রয়েছেন দর্শকদের একটা বড় অংশ। কিন্তু গল্পের মার প্যাঁচে বারবার বিয়ে হতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত তা ভেস্তে যাওয়ায় দারুন ক্ষুব্ধ দর্শকদের একটা বড় অংশ।
চড়ুইয়ের শয়তানিতে লালনের সাথে শেষ পর্যন্ত বিয়ে ভেঙে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একটা বড় অংশের প্রচন্ড ক্ষোভের মুখে পড়েছে ফুলঝুরি। সিরিয়ালে বারবার তার এই এক ন্যাকামি দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে উঠেছেন দর্শক। তাই রাগের মাথায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুলঝুরির কোনো ভিডিও দেখলেই তেড়ে আসছেন দর্শক। ফুলঝুরি কে ‘ন্যাকা’ বলে কটাক্ষ করে ন্যাকাশ্রী আখ্যা দিচ্ছেন সকলে।
আবার নেটিজেনদের একটা অংশ পাশে দাঁড়িয়েছেন সিরিয়ালের নায়িকার। তাদের নায়ক নায়িকাদের দোষ দিয়ে কি হবে! তাদের কাজ অভিনয় করা আর তারা সেটাই করছেন। সিরিয়ালে এই ধরনের গল্প দেখানোর দোষ যদি কারও ঘাড়ে চাপাতে হয় তাহলে তার সম্পূর্ণ দায় বর্তায় এই সিরিয়ালের লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর ওপর। তবে সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে চলতি সপ্তাহে আবার একবার বেঙ্গল টপার হয়েছে ধূলোকণা।
সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছিলেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী নিজেই। বেঙ্গল টপার হওয়া নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করে লেখিকা বলেছেন “অনেকগুলো বছর হয়ে গেল আমার সিরিয়াল টপার। এখন আর নতুন করে শিহরণ হয় না। কিন্তু ভাল লাগে। এটা তো একটা লড়াই বটেই।” প্রসঙ্গত দর্শকদের একটা বড় অংশের লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়াল মানেই পরকীয়া। আর কখনও সুস্থ স্বাভাবিক বিয়ে দেখানো হয় না। এ প্রসঙ্গে লেখিকার দাবি “আসলে মানুষ ড্রামা পছন্দ করে। সবই তো আসলে দর্শকের জন্য।”