বাঙালি দর্শকদের প্রিয় সিরিয়ালের জনপ্রিয় চিত্রনাট্য লেখিকাদের (Serial Script Writer) মধ্যে অন্যতম লীনা গাঙ্গুলী (Leena Ganguly)। ষ্টার জলসা থেকে কালার্স ব্যাঙলা এমনকি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়ে হিন্দি সিরিয়ালেও লেখিকা হিসাবে কাজ করেছেন তিনি। সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখিকা হিসাবে ভালোই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তাঁর লেখা একাধিক সিরিয়ালের কাহিনী হিন্দি ধারাবাহিকে রিমেক করা হয়েছে সেগুলিও ভালো জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এবার নিজের লেখা দুই সিরিয়ালের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেলেন লেখিকা।
ষ্টার জলসার একাধিক জনপ্রিয় সিরিয়াল লীনা গাঙ্গুলীর লেখা। যার মধ্যে রয়েছে, খড়কুটো, শ্রীময়ী, মোহর ধূলোকণা এর মত সিরিয়াল। যদিও শ্রীময়ী সিরিয়ালটি গতবছরের শেষের দিকে শেষ হয়ে গিয়েছে তবে বাকি সিরিয়ালগুলি এখনও বেশ জনপ্রিয়। সিরিয়ালের চরিত্র থেকে কাহিনী ও প্রেক্ষাপট সব মিলিয়ে টিআরপির (TRP) লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে তাঁর লেখা সিরিয়াল। বলা যেতে পারে সিরিয়ালের হিট হওয়ার কৃতিত্বটাই লেখিকার।
এবার সিরিয়ালের চিত্রনাট্য লেখার জন্যি ইন্ডিয়ান টেলি অ্যাওয়ার্ডস বাংলা ২০২২ এ একটা নয় দু-দুটি পুরস্কার পেলেন লীনা গাঙ্গুলী। স্টার জলসার মোহর সিরিয়ালের জন্য বেস্ট স্ক্রিপ্ট রাইটার অ্যাওয়ার্ড পেলেন লেখিকা। আর খড়কুটো সিরিয়ালের জন্য বেস্ট ডায়লগ রাইটার ওয়ার্ড।
সম্প্রতি চ্যানেলের পক্ষ থেকে এই দারুন সুখবরটি শেয়ার করা হয়েছে ফেসবুকে। আর এমন একটা সুখবর প্রকাশ পেতেই লেখকের জন্য শুভেচ্ছায় কমেন্ট বক্স ভরিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে শুধুই যে প্রশংসা আর শুভেচ্ছা পেয়েছেন তা নয়! কমেন্ট বক্সে অনেকে আবার নেতিবাচক মন্তব্যও করেছেন।
নেটিজেনদের কারোর মতে লীনা গাঙ্গুলি ‘পরকীয়া রাইটার’! তো কারোর মতে তাঁর জাতীয় পুরস্কার পাওয়াটা হাস্যকর। মোহর সিরিয়ালের জন্য বেস্ট স্ক্রিপ্ট রাইটার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন লেখিকা সেই প্রসঙ্গ তুলে একজনের মত, এমন ভুলভাল ও অপ্রাসঙ্গিক সংলাপ সিরিয়ালে দেখানো হয় যার জেরে লীনা ম্যাম সেরা স্ক্রিপ্ট রাইটার অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন এর চাইতে হাস্যকর কি আর হতে পারে ?
মোহর সিরিয়াল প্রসঙ্গে এক নেটিজেনদের মন্তব্য, ছোটকা জেলে গেল মোহরকে মেরে ফেলার প্রচেষ্টার জন্য (যদিও এই কেসের বাদী কে সেটা বোঝা যায়নি/মোহর বা তার ঘনিষ্ঠ কেউ কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়ায়নি/ শ্রেষ্ঠা যে নির্দোষ শুধুমাত্র সেটা প্রমান করা হয়েছে), এদিকে দুনচি কলেজে আর্থিক দুর্নীতি আর অসভ্যতামির জন্য শাস্তি হয়েছে তার। বৌদিভাই তার সাথে হওয়া অন্যায়কে প্রাধান্য না দিয়ে বসের সাথে সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ার সামনে প্রচার করছে। ইটা যে কোনো মেয়ের জন্য অসম্মান জনক। লীনা ম্যাম সুস্থ মস্তিষ্কে এসব লেখেন সমাজে নারীর অবস্থান আরও ছোট করার জন্য?
প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নেটিজেনদের এমন কুমন্তব্যের শিকার হননি লেখিকা। এর আগেও বহুবার সিরিয়ালের কাহিনী টেনে ট্রোল করা হয়েছে লেখিকাকে। লেখিকার সিরিয়ালে পরকীয়া, বা এক পুরুষের সাথে একাধিক নারীর বিবাহ দেখা যায়। সাথে ‘মাথা মুন্ডুহীন’ সংলাপ তো আছেই। এই সোম নিয়ে বহুবার নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়াতে সরব হয়েছে যে তাঁরা একঘেয়েমি দকেহতে দেখতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন।