বিগত ৬ই ফেব্রুয়ারি প্রয়াত হয়েছেন লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। তাঁর প্রয়ানে এক অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে ভারতীয় সঙ্গীত তথা সংগীতের জগতে। তিনি প্রয়াত হলেও একাধিক ভাষায় তাঁর গাওয়া হাজারো গান চিরকাল অমর হয়ে রয়ে যাবে কোটি কোটি শ্রোতাদের হৃদয়ে। তবে এই বিশাল সংগীতের যে জগতে লতাজি চলে যাবার পর তাঁর সংগীতের উত্তরাধিকারের গুরুদায়িত্ব থাকছে কাদের ওপর? আজ সেই কথাই জানাবো আপনাদের।
লতা মঙ্গেশকরের চলে যাবার পর তাঁর সংগীত জগতের উত্তরাধিকারী হিসাবে রয়ে গিয়েছেন তারই তিন বোন। পরিবারে মোট পাঁচ জন রয়েছে। উষা, আশা, মীনা ও হৃদয়নাথ। এরা প্রত্যেকেই কয়েক দশক ধরে সংগীতের জগৎকে নিজেদের সৃষ্টির মাধ্যমে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। কিন্তু এরপর পরবর্তী প্রজন্ম করা? তাঁদের পর করা হবে এই সংগীতের জগতের পরবর্তী উত্তরাধিকার!
যেমনটা জানা যায় মঙ্গেশকর পরিবারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রজন্মের থেকেই রয়েছে উত্তরাধিকারীরা। হৃদয়নাথ মঙ্গেশকরের এক কন্যা রয়েছে যার নাম রাধা মঙ্গেশকর (Radha Mangeshkar)। মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই সংগীতের জগতে হাতে খড়ি হয়ে গিয়েছে তার। খোদ লতা মঙ্গেশকর তাঁর কন্ঠস্বর শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তার ‘‘নাভ মাঝে শামী’’ নামের হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সংগীতের সংকলন মুক্তি পেয়েছিল। তবে শুধু হিন্দি নয়, মারাঠি ও আঞ্চলিক বেশ কিছু ভাষাতেও গান গেয়ে ফেলেছেন রাধা। যার মধ্যে রয়েছে কিছু বাংলা গানও।
এরপরেই আসে আশা ভোঁশলের ছেলে আনন্দ ভোঁসলের মেয়ে জিনাই ভোঁসলে (Zanai Bhosle)। তারও বেশ নাম রয়েছে, একপ্রকার উঠতি গায়িকা হিসাবেই পরিচিত হতে শুরু করেছে সে। ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে ভারতবর্ষের প্রথম গানের দল ‘সিক্স প্যাক’ এতে কাজ করেছে জিনাই। ঠাকুমা আশা ভোঁসলের থেকেই এমন রুচি ও সঙ্গীতের দক্ষতা পেয়েছে জিনাই।
এছাড়াও রচনা খাদিকের শাহ (Rachana Khadikar Shah) হলেন মঙ্গেশকর পরিবারের আরেক বেশ পরিচিত সদস্য। মীনা মঙ্গেশকরের কন্যা রচনা। পাঁচ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীতচর্চা শুরু হয়েছিল তার। শিশুদের জন্য ‘মারাঠি বাল গীত’ অ্যালবামে গান গেয়েছেন তিনি। যাহ্রাও নাটকে অভিনয় থেকে একাধিক গান গেয়েছেন তিনি।