‘দীপ নিভে গেল’। ২০২০ থেকে করোনার দাপটে নাস্তানাবুদ হয়েছিল গোটা পৃথিবী। করোনার কোপে একের পর এক শিল্পী, স্বজনদের হারিয়েছি আমরা। একটা করে নতুন বছর এলেই সকলে বুক বাঁধত এই বছরটা বুঝি সুখকর হবে। কিন্তু ২০২১ সালেও করোনার শেষ দুটো ঢেউয়ে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। অবশেষে ২০২২ সাল এলো, করোনার দাপট খানিক কমলো। আস্তে ধীরে স্কুল, কলেজ সব খুলল ঠিকই কিন্তু বছর শুরু থেকেই ভেসে এলো একের পর এক দুঃসংবাদ।
একটা ক্ষত সেরে উঠতে না উঠতেই আরও একটা আঘাত এসে লাগতে শুরু করল দেশবাসীর বুকে। এই বছরের শুরু থেকেই বিনোদন জগতের অসংখ্য রথি-মহারথিদের আমরা হারিয়েছি। গত ৬ ই ফেব্রুয়ারী প্রয়াত হয়েছেন ভারতের সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar)। সকলেরই জানা, লতা মঙ্গেশকরের বিয়ে করেননি, তাই তার সন্তান সন্ততিও নেই।
একসময় মাত্র ২৫ টাকা পারিশ্রমিক দিয়েই প্রথম কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। এরপর ধীরে ধীরে তাঁর শুরে জাদুতে মুগ্ধ হতে থাকেন শ্রোতারা। গোটা পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে তার গানের জাদু, সঙ্গীত জগতের পাশাপাশি বিশ্বের দরবারে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন তিনি। ব্যাপক জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অর্জন করেছেন বিশাল সম্পদও।
লতাজির সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার, যেটা ভারতীয় টাকায় ৩৬৮ কোটি টাকা। মুম্বাইয়ের বিলাসবহুর জায়গা পেদার রোডে থাকতেন সুর সম্রাজ্ঞী। তার বাড়ির নাম ‘প্রভু কুঞ্জ’। বিলাসবহুল বাড়ির পাশাপাশি দামি গাড়ির পছন্দ করতেন লতা। শেভ্ৰলেট, বুইক এর মত একাধিক দামি গাড়ি রয়েছে তার।
আজ এমন একজন ব্যক্তির কথা আমরা জানাব, যাকে নিজের ছেলের মত ভালোবাসতেন লতা। শুধু তাই নয়, তার প্রতি মৃত্যুর আগে মায়ের মতো কর্তব্য ও পালন করে গিয়েছেন সুর সম্রাজ্ঞী। বেনারসের এই যুবককে মৃত্যুর আগে তিনি কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে দিয়ে গিয়েছিলেন। বেনারসি শাড়ি ছিল লতা মঙ্গেশকরের পছন্দের শাড়ি। তিনি এখানে শাড়ি নির্মাতা ও ব্যবসায়ী ভাই আরমান ও রিজওয়ানের তৈরি শাড়ি পরতেন। এই দুই ভাই লতাজিকে মা বলেও ডাকতেন। কোনও উৎসবে তাদের পরিবারে লতাজি উপহারও পাঠাতেন।তাই লতাজির মৃত্যুর পরে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।