জি বাংলার (Zee Bangla) ‘মিঠাই’ (Mithai) ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে যতখানি জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমন জনপ্রিয় খুব কম সিরিয়ালই হয়েছে। সৌমিতৃষা কুণ্ডু (Soumitrisha Kundu) এবং আদৃত রায় অভিনীত এই সিরিয়াল গত আড়াই বছর ধরে দর্শকমনে রাজত্ব করে আসছে। অবশ্য শুধুমাত্র নায়ক-নায়িকাই নন, মনোহরার প্রত্যেক সদস্যকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন দর্শকরা।
এখন যেখানে শুরু হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই সিরিয়াল বন্ধ হয়ে যায়, সেখানে ‘মিঠাই’ এমন একটি ধারাবাহিক যেটি গত আড়াই বছর ধরে দর্শকমনে রাজত্ব করছে। শেষ কয়েক মাসে সিরিয়ালের টিআরপি কিছুটা কমলেও ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা কিন্তু একেবারে অটুট ছিল। তবে যা শুরু হয়েছে তা তো একদিন না একদিন শেষ হবেই! ‘মিঠাই’র ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।
আগেই জানা গিয়েছিল, শীঘ্রই শেষ হতে চলেছে সৌমিতৃষা-আদৃতের সিরিয়াল। ৩১ মে সিরিয়ালের শেষ শ্যুটিং (Last Shooting) হবে বলেও খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই জন্য শেষবারের মতো মিঠাইরানী সহ সম্পূর্ণ টিমকে দেখার জন্য শ্যুটিং সেটে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়।
কেউ নৈহাটির বড়মার কাছে পুজো দিয়ে সেই প্রসাদ নিয়ে গিয়েছিলেন, কেউ আবার নজর লাগা কাটানোর জন্য শুকনো লঙ্কা নিয়ে গিয়েছিলেন। অনেকে মিঠাইরানীর পোট্রেটও নিয়ে গিয়েছিলেন উপহার হিসেবে। মিঠাইয়ের শেষ দিনের শ্যুটিংয়ে সৌমিতৃষাকে ভালোবাসা এবং উপহারে ভরিয়ে দেন অনুরাগীরা।
একজন ভক্ত যেমন মুক্তোর হার, সোনার রিসলেট এনেছিলেন উপহার হিসেবে। ‘মিঠাই’র বাংলাদেশের এক অনুরাগী আবার উপহার হিসেবে ঘুঙুর পাঠিয়েছিলেন। একজন তো আবার রীতিমতো বিয়ের তত্ত্বের মতো সাজিয়ে একাধিক উপহার পাঠিয়েছিলেন সৌমিতৃষার জন্য।
অনুরাগীদের এত ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত পর্দার মিঠাইরানী। তাঁর কথায়, এত মানুষের ভালোবাসা এর আগে তিনি কখনও পাননি। অভিনেত্রী বলেন, তিনি জানতেন বাংলাদেশেও ‘মিঠাই’ বেশ জনপ্রিয়। তবে সেদেশের মানুষ যে তাঁকে এতখানি ভালোবাসেন তা সত্যিই অজানা ছিল অভিনেত্রীর। শেষ দিনের শ্যুটিংয়ে ‘মিঠাই’ সেটের বাইরে এতখানি ভিড় ছিল যে পা রাখার জায়গা অবধি ছিল না। শেষ দিনের শ্যুটিংয়ের ভক্তদের থেকে এত ভালোবাসা পেয়ে আবেগঘন হয়ে পড়েন সৌমিতৃষা।