সিরিয়াল মানেই দর্শকদের অত্যন্ত পছন্দের একটি বিষয়। তাই দর্শকদের ব্যস্ত জীবনে একমুঠো অক্সিজেনের মতো কাজ করে বিনোদনমূলক সিরিয়ালগুলি। আর দর্শকদের চাহিদা পূরণের কথা মাথায় রেখে সন্ধ্যা হতেই নিত্যনতুন সিরিয়ালের ডালি নিয়ে হাজির হয় বিনোদন মূলক চ্যানেল গুলি। সেইসাথে রয়েছে টিআরপির (TRP) দৌড়ে এগিয়ে থাকার লড়াই।
তাই প্রতিপক্ষ চ্যানেল গুলিকে কড়া টক্কর দিতে বস্তাপচা কনটেন্ট নয় পরিবর্তে ভিন্ন স্বাদের গল্পকেই বাজি ধরছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। তাই গত বছর থেকেই একের পর নতুন সিরিয়াল শুরু হয়েছে জি বাংলার পর্দায়। আর এক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারীকেন্দ্রিক চরিত্রগুলোকে। এভাবেই জি বাংলার তরফে কুর্নিশ জানানো হয়, আজকালকার দিনের মেয়ে বৌদের লড়াকু মানসিকতা কে।
এরইমধ্যে কিছুদিন আগেই জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘লক্ষ্মীকাকিমা সুপারস্টার’ (Lakshmi Kakima Superstar)। এই ধারাবাহিকের অন্যতম প্রধান ইউএসপি হলেন স্বয়ং লক্ষ্মী কাকিমা। অর্থাৎ জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য। শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছেএই সিরিয়ালের মাধ্যমে প্রতিদিন সংসারের ঘেরাটোপে থাকতে থাকতে দুহাতেই দশভূজা হয়ে ওঠা সুপারস্টার মা কাকিমাদের বাস্তব জীবনের গল্প।
বাড়ির কাজ সামলে প্রতিদিন দোকানে যায় লক্ষ্মী কাকিমা। আর লক্ষ্মী কাকিমার এই দোকান নিয়ে শুরু থেকেই বাড়ির লোকেদের নানা অভিযোগ। সবাই চায় ওই দোকান বন্ধ করে দিক লক্ষ্মী কাকিমা। শুধু তাই নয় পুরনো দিনের বাড়ি প্রোমোটারের হাতে তুলে দিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে যে যার মতো আলাদা আলাদা ফ্লাট বাড়িতে থাকতে চায় সকলে।
এদিকে সংসারের জন্য এত করার পরেও যখন বাড়ির মানুষরাই লক্ষ্মী কাকিমা কথা শোনাতে ছাড়ে না তখন বাইরের লোক কোন ছাড়। এমনিতে বাইরে তার শত্রুর অভাব নেই। এরইমধ্যে সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে লক্ষ্মী কাকিমার দোকানের জিনিসের নামে ডুয়ো অভিযোগ এনে একদল গুন্ডা এসে ভাঙচুর শুরু করে দেয় তার দোকানে। এমন সময় সেখানে লক্ষ্মী কাকিমার বর দেবুদা এসে পড়লে তার কপালে চোট লাগে, এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এখন ঘরে বাইরে দুদিকের বিপদ লক্ষ্মী কাকিমা কীভাবে কাটিয়ে ওঠে সেটাই দেখার।