বাংলা বিনোদনে জনগের বিখ্যাত অভিনেত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee)। কাজ হিসাবে নয়, ভালোবেসেই অভিনয় করতেন। লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনটাই ছিল প্রাণ, অভিনয় থেকে দূরে থাকা মোটেই পছন্দ করেন না তিনি। সর্বদাই ব্যস্ত থাকতেন শুটিংয়ের কাজে। আর শুটিংয়ের মঞ্চ থেকেও অসুস্থ হয়ে শেষমেশ চলে গেলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এমন একজন অভিনেতা তথা বন্ধুকে হারিয়ে শোকাহত অভিনেত্রী লাবনী সরকার (Laboni Sarkar)।
বৃহস্পতিবার সকালেই খবর মেলে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আর নেই। এই খবর প্রথমে বিশ্বাসই করে উঠতে পারেননি কেউ। আর পাঁচজনের মত লাবনী সরকারও এমন একটা আকস্মিক মৃত্যুর খবরের জন্য একেবারেই অপ্রস্তুত ছিলেন। প্রিয় বন্ধুর প্রয়াণের খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, অভিষেক নেই ভাবতেই পারছি না। আর কোনোদিন কথা হবে না ওর সাথে!
লাবনীর সরকারের সহ অভিনেতা হয় বরং প্রিয় বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিষেক চাট্টপাধ্যায়। তাই এমন একটা খবর পেয়ে একপ্রকার মানসিকভাবে বিধস্ত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। তাছাড়া টলিউডের বাকি তারকারাও গভীরভাবে শোকাহত। দেব, অঙ্কুশ থেকে শুরু করে বাকি অভিনেতা অভিনেত্রীরাও শোক প্রকাশ করেছেন অভিনেতার প্রয়াণে।
প্রসঙ্গত, ৫৭ বছর বয়সে নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন অভিনেতা। যেমনটা জানা যাচ্ছে গত সোমবার শুটিং চলাকালীন শুটিং ফ্লোরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেতা। বেশ কয়েকবার বমি হয়, এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তবে হাসপাতালে চিকিৎসা করতে রাজি ছিলেন না অভিনেতা। তাই ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতেই চলছিল চিকিৎসা।
কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না, বুধবারের রাত পেরোতেই মারা যান অভিনেতা। জানা যাচ্ছে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েই মারা গিয়েছেন অভিনেতা। তাঁর প্রয়াণে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হল বাংলা বিনোদন জগতে। যেটা আর কোনদিনই পূর্ণ হবে না। সেই নবইয়ের দশক থেকে বাঙালি অভিনয় জগতের সাথে কাজ করছেন তিনি। প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, তাপস পাল. দেবশ্রী রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সন্ধ্যা রায় এদের মত একাধিক শিল্পীর সাথে কাজ করেছিলেন তিনি। অভিনেতার আত্মার চিরশান্তি কামনা করি আমরা সকলে বংট্রেন্ডের পক্ষ থেকে।