ভারতীয় সংগীত জগতের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র কুমার শানু (Kumar Sanu)। আর বাবার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সালোনী (Saloni)-র দত্তক কন্যা শ্যানন কুমার শানু (Shanon Kumar Shanu)। তাও দেশের মাটিতে নয় আমেরিকার একজন বিখ্যাত গায়িকা তিনি। খুব অল্প বয়সেই শ্যানন গানের জগতে নিজের জায়গা প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।
খুব ছোট বয়সেই ভারত ছেড়ে মায়ের সাথে বিদেশ পাড়ি দেন শ্যানন। তার গাওয়া গান ‘রিট্রেস’ এর মাধ্যমে প্রবল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। হলিউডের পাশাপাশি বলিউডেও কাজ করেছেন তিনি, কাজ করেছেন হিমেশ রেশমিয়ার সাথেও। শুধু তাই নয় শান, সোনু নিগম ইত্যাদি জনপ্রিয় গায়কদের সাথে শ্যানন গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
আজ দুই দেশেই শ্যানন জনপ্রিয়, আর মেয়েকে নিয়ে তাই বাবা হিসেবে ভীষণ গর্বও বোধ করেন কুমার শানু। লন্ডনের রয়্যাল স্কুল অফ মিউজিকে ইংরাজি ক্ল্যাসিক্যাল সংগীতের শিক্ষা গ্রহণ করেন শ্যানন। বাবাই ছিলেন তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাগুরু। তবে এবার শ্যানন কুমার শানু মুখ খুললেন আমেরিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে৷
আমেরিকায় যে শ্যামলা বা চাপা বর্ণের মানুষদের মানুষই মনে করা হয়না সে প্রমাণ আমরা আগেও পেয়েছি। জলজ্যান্ত উদাহরণ জর্জ ফ্লয়েড হত্যা কান্ড। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শ্যানন। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তারকা হয়ে ওঠা শানু কন্যা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘প্রতিভা থাকলেও বাস্তব জীবনে অনেক মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন তিনি। পাশ্চাত্য দেশগুলিতে নিয়মিত বর্ণবৈষম্যের মুখে পড়তে হয়েছে।
অডিশন দিতে গেলেই গায়ের রঙের জন্য শুনতে হত খোঁটা। পরবর্তীতে বাড়িতে এসে কেঁদে ভাসাতেন তিনি। কেননা অত অল্প বয়সে তার পক্ষে এই মানসিক চাপ সহ্য করা সহজ ছিলনা। কখনও কখনও নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলতেন। জীবন দিয়ে তিনি শিখেছেন তারকা হওয়ার আগে সর্বাগ্রে প্রয়োজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠা।