বাংলা সারেগামাপা- এরও একজন উল্লেখযোগ্য প্রতিযোগী ছিলেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, এমনকি জাতীয় মঞ্চেও তার গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ৮ থেকে ৮০। আবার তাকে নিয়ে বিতর্কেরও শেষ নেই। তার নিত্যনতুন গানের ডালি সাজিয়ে বিচারকমন্ডলীকে কার্যত মুগ্ধ করেছেন স্নিগ্ধ। উত্তরবঙ্গের বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (Snigdhajit Bhowmik) আজ সারেগামাপা (Sa Re Ga Ma Pa) এর দৌলতে বেশ জনপ্রিয়।
টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় গানের রিয়্যালিটি শো সারেগামাপা। যেখানে বিচারক হিসাবে রয়েছেন বিশাল দাদলানি, হিমেশ রেশমিয়া ও শঙ্কর মহাদেবন এর মত ব্যক্তিত্বরা। সেই মঞ্চেই নিজের গানের গলা দিয়ে বিচারক ও দর্শকদের মুগ্ধ করেছে স্নিগ্ধজিৎ। বাংলা ‘সারেগামাপা’তেও দ্বিতীয় স্থান দখল করেছিলেন তিনি।
সম্প্রতি স্নিগ্ধজিৎ নিজের গানের একটি ভিডিও ক্লিপ ইন্সটাগ্রামে শেয়ার করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কুমার শানু স্নিগ্ধজিৎ এর গানে মুগ্ধ হয়ে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলছেন এতদিন পর্যন্ত আমাকে সকলে বেঙ্গল টাইগার বলত, আজ এই নাম আমি তোমায় দিলাম। এই বলে শানু স্নিগ্ধকেই বেঙ্গল টাইগার বলে আখ্যা দেন। এখানেই শেষ না, এরপর কুমার শানু নিজের টাইগার প্রিন্টের জ্যাকেট খুলে স্নিগ্ধজিৎকে পরিয়ে দেন শানু। এই ভিডিওটি ২০২১ সালের।
অনেক স্ট্রাগলের পরেই আজ এই জায়গায় পৌঁছেছে স্নিগ্ধজিৎ। স্নিগ্ধজিৎ জানান, তাঁর বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন তাই মা যখন গর্ভবতী ছিলেন তাকে প্রতিবেশীরা বলেছিল গর্ভপাত করিয়ে নিতে। কারণ সমাজের লোকের ধারণা পাগল বাবার সন্ধান পাগল হয়েই জন্মাবে। সমাজের এই সমস্ত কটূ কথা শোনেননি মা। ১০ মাস গর্ভে ধারণ করে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন ছেলেকে। স্নিগ্ধজিতের মতে, এর চেয়ে বড় বিষয় আর কি হতে পারে!
View this post on Instagram
এমনিতেই সংগীতের এই প্রতিযোগিতার দৌলতে বেশ চর্চায় উঠে এসেছে স্নিগ্ধজিতের নাম। অনেকেই মনে করেন নিজের দারিদ্রতাকেই নাকি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেন তিনি! তবে গানের গলা দিয়ে প্রতিবারই নিন্দুকদের করা জবাব দিয়েছেন স্নিগ্ধজিৎ।