বিয়ে তো অনেককেই করতে দেখা যায়। কেউ ভালোবাসার সম্পর্ককে পরিণতি দিতে দিয়ে করেন, আবার আমার কেউ পরিবারের ইচ্ছায়। বলা হয় সারা জীবন কারও পক্ষেই একা বাঁচ সম্ভব নয়। জীবনের অবলম্বন হিসাবে সবারই বোধ হয় একজন সঙ্গী প্রয়োজন। কিন্তু উল্টো পথে গিয়ে বেশিরভাগ মানুষই বাঁচতে চাইছেন একা। সবাই চায় নিজেকে নিজের মতো করেই গুছিয়ে নিতে।
কিন্তু সবাইকে একেবারে চমকে দিয়ে এক বছর আগে নিজেই নিজেকে বিয়ে করেছিলেন গুজরাটের ভাদোদরার একজন যুবতী। তার নাম ক্ষমা বিন্দু। সেই প্রথম স্ববিবাহ বা সোলোগ্যামি বিয়ের সাক্ষী থেকেছিল গোটা দেশ। বিয়ের মণ্ডপে কোনো পুরোহিত না থাকলেও পালন করা হয়েছিল গায়ে হলুদ, কিংবা মেহেন্দির মতো বিয়ের সমস্ত নিয়ম।
নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে,সাতপাক ঘুরে,মঙ্গলসূত্র পরে সমস্ত নিয়ম-রীতি মেনে ধুমধাম করে সেই বিয়ে সেরেছিলেন ক্ষমা। এবার বছর ঘুরতেই নিজের বিয়ের প্রথম বিবাহবার্ষিকীও পালন করতে দেখা গেল বছর পঁচিশের এই যুবতীকে। প্রসঙ্গত এই যুবতীর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ঘাটলে দেখা যাবে তিনি নিজেকে ডিজিটাল ক্রিয়েটার বলে পরিচয় দিয়েছেন।
এবং তার প্রতিটি ভিডিও এবং ছবিতে রয়েছে অসংখ্য মানুষের লাইক এবং কমেন্টস। আসলে নিজেই নিজেকে বিয়ে করার পর থেকে গুজরাটের মেয়ে ক্ষমা কিন্তু এখন রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়া সেনজেশন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষমা নিজের বিবাহ বার্ষিকী স্পেশাল ভিডিওটি শেয়ার করেছিলেন সেখানে ক্যাপশনে লিখেছেন ‘শুভ বিবাহ বার্ষিকী।’
প্রসঙ্গত দেখা গিয়েছে গত এক বছরে ক্ষমা ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের নানান প্রান্তে নানান শহরে।এসেছিলেন কলকাতাতেও। তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে ঢুঁ দিলেই তার প্রমান মিলবে। প্রসঙ্গত ক্ষমার করা গা ভর্তি ট্যাটুগুলির মধ্যে বিশেষ ভাবে নজর কেড়েছে বাংলা হরফে লেখা ‘একলা চলো রে’।
View this post on Instagram
যা দেখে বোঝাই যাচ্ছে রবি ঠাকুরের গানের লাইনের সাথেই কোথাও যেন মিলেমিশে গিয়েছে, ক্ষমার নিজের জীবনটাও। যা দেখে মনে হয় তিনি নিজেও যেমন নিজের শর্তে বাঁচতে এবং একলা চলতে ভালোবাসেন তাই বিয়ে করেছিলেন নিজেকে। তবে এদিন বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে ভিডিও শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল কটাক্ষের মুখে পড়েছিলেন এই তরুণী।