বলিউডে বিতর্ক আর স্বঘোষিত চিত্র সমালোচক তথা অভিনেতা কমাল রশিদ খান (Kamal Rashid Khan) যেন সারাক্ষণ একে অপরের হাত ধরাধরি করে চলে। যদিও সবাই তাকে কে আর কে (KRK) বলেই চেনেন। বলিউড ইন্ডাস্ট্রি হোক কিংবা নির্দিষ্ট কোনো অভিনেতা অভিনেত্রী হোক সকলের প্রসঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করাই তার কাজ। মূলত ব্যাক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই এই ধরণের আচরণ করে থাকেন তিনি।
বছর দুয়েক আগে করা এমনই বিতর্কিত টুইটের জেরে গত মাসেই অর্থাৎ ৩০ আগস্ট মুম্বাই এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন কেআরকে। জানা যায় আজ থেকে ২ বছর আগে ২০২০ সালে অক্ষয় কুমারের ‘লক্ষ্মী’ সিনেমা এবং রামগোপাল বার্মা কে নিয়ে একটি বিতর্কিত টুইট করেছিলেন তিনি। সেইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে যৌন হেনস্থার অভিযোগ।
এই জোড়া মামলায় গ্রেপ্তারির পর মাত্র দুদিন আগেই জামিন পেয়েছেন KRK। তার পরই ধরা দিলেন চেনা মেজাজে। জামিন পাওয়ার মাত্র দু’দিনের মাথায় আবারও সক্রিয় হয়ে উঠে কেআরকে-র হুঁশিয়ারি ‘প্রতিশোধ নিতে ফিরে এলাম’। গ্রেফতার হওয়ার পর রবিবার প্রথম পুরোনো মেজাজে ধরা দিলেন কেআরকে । প্রসঙ্গত কেয়ারকে জেলে থাকাকালীন তার টুইটার একাউন্ট থেকে তার প্রাণ সংশয়ের কথা জানিয়ে জোড়া টুইট করেছিলেন তার ছেলে ফয়জল কামাল (Faisal Kamal)।
সেখানে তিনি ট্যাগ করেছিলেন বলিউড অভিনেতা অভিষেক বচ্চন এবং রিতেশ দেশমুখ সহ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে। যদিও তার সেই টুইটের জবাব দেননি তারা কেউই। পুলিশের দাবি ছিল যে পোস্ট গুলির কারণে কেআরকে-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল তার মধ্যে বেশিরভাগ পোস্টেই ছিল সাম্প্রদায়িক উস্কানি।
অন্যদিকে শ্লীলতাহানির মামলায় অভিযোগকারিণী জানিয়েছিলেন কেআরকে তার একটি ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নিজের বাংলোতে ডেকে নিয়ে গিয়ে সেখানে তার সাথে শ্লীলতাহানির করেছিলেন। এপ্রসঙ্গে কেআরকে-র আইনজীবীর দাবি ছিল কমলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। অভিযোগকারিণী তার এক বন্ধুর প্ররোচনায় ঝোঁকের মাথায় ওই এফআইআর করেছিলেন।