দীর্ঘ ৪ বছরের যাত্রা শেষে ১২০২ এপিসোড পেরিয়ে গতকালই শেষ হয়েছে শ্যামা (Shyama ) নিখিলের (Nikhil) গল্প। গ্রামের কালো মেয়ে শ্যামার কীর্তন গাওয়া দিয়ে শুরু হয়েছিল এই ধারাবাহিক। এরপর নানা বাধা বিপত্তি শেষে শুধুমাত্র গানকে আঁকড়ে ধরে ধীরে ধীরে শ্যামা থেকে কৃষ্ণকলি হয়ে উঠেছে নায়িকা। সময়ের সাথে সাথে এই সিরিয়ালে নিত্যনতুন অনেক চরিত্রের বদল ঘটেছে।
তবে সেইসাথে এই সিরিয়ালে এমন কিছু চরিত্র রয়েছেন শুরু থেকে যাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিঃসন্দেহে তাদের মধ্যে অন্যতম হল রুক্মিণী মাসি আর চৌধুরী বাড়ির মেজবৌ দিশা। শুরু থেকে শেষ দিন পর্যন্ত তারা শুধু শ্যামার ক্ষতি চেয়ে গিয়েছে। বার বার সেই কাজে ব্যর্থ হলেও নিত্যনতুন ফন্দি আঁটতে শুরু করে তারা।
সিরিয়ালের শেষ পর্বেও তারা শ্যামাকে গুলি করে মারার চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রুক্মিণী মাসি আর দিশা দুজনেই পুলিশের সাথে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায়। উল্লেখ্য এই রুক্মিণী মাসি হল শ্যামার শ্বাশুড়ির বোন, তাকে দেখে নিখিলের মা ধিক্কার জানিয়ে বলতে শুরু থেকে সে একই থেকে গেছে। কোনও পরিবর্তন নেই তার আর বাড়ির মেজ বৌ দিশা তাকেও ধিক্কার জানায় দিশা।
সিরিয়ালে অনেক ধরেই পাত্তা নেই শ্যামার বর নিখিলের। দর্শকদের দাবি ছিল শেষ পর্বে যেন সিরিয়ালে নিখিলকে দেখানো হয়। তাই দর্শকদের সেই দাবি মেনেই শেষ পর্বে সিরিয়ালে শ্যামাকে বাঁচাতে নাটকীয় ভাবে এন্ট্রি হয় নিখিলের। আর নিখিল আসতেই কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে চলতে থাকে সেই চির পরিচিত মান অভিমানের পালা।
আবার কিছুক্ষণের মধ্যেই মিল হয়ে যায় নিখিল শ্যামার। নিখিল সকলের সামনেই জানিয়ে দেয় সে তার সমস্ত কাজ সেরে ফিরে এসেছে চিরজীবনের জন্য। এখন তাদের দুঃখের দিন শেষ হয়েছে। তাই এবার থেকে বসন্ত রায়চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা সুখে শান্তিতে থাকবেন।