সবসময়ই টিআরপির (TRP) এর শীর্ষে থাকে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কৃষ্ণকলি (Krishnakoli)। সন্ধ্যে হলেই টিভির সামনে ‘কৃষ্ণকলি’ দেখার জন্য ভীড় জমায় এই ধারাবাহিকের অনুরাগীরা। এই সিরিয়ালের পরতে পরতে কেবল মোচড়, টানটান উত্তেজনা। এই সিরিয়ালের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘মুন্নি’ ওরফে অনন্যা গুহর। এবছর মাধ্যমিকের পরিক্ষার্থী ছিলেন মুন্নি।
দিন দুয়েক আগেই মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। যদিও অন্যান্য বারের মত এবারে ফল প্রকাশের মূল্যায়ন হয়েছে সম্পূর্ণ অন্য ভাবে। বিশেষ পদ্ধতিতে পুরোনো শ্রেণীর নম্বর যোগ করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হয়েছে। এই নিয়ে কার্যত গত দু’দিনে ঝড় বয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। হয়েছে অসংখ্য ট্রোলও। এই আবহেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকের মুন্নি।
শ্যুটিং -এর চাপ সামলেও ৭৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন অভিনেত্রী। এই আনন্দেই সোমবার পরিবারের সঙ্গে হুড়িয়ে হুল্লোড় করেছেন পর্দার মুন্নি। পর্দার মুন্নিকে ইতিমধ্যেই ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তার অনুরাগীরা। কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে নিখিলের মেজদার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অনন্যা।
বেশ খুশিতেই অনন্যা একটি সাক্ষাৎকারে জানান, মাধ্যমিকের রেজাল্ট তার আশানুরূপ হয়েছে। তিনি খুব খুশি ফলাফলে। এর আগে শ্যুটিং এবং পড়াশোনা সামলাতে তার স্যান্ডুইচের মত অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। অনন্যার কথায়, ‘বাবা তো দিনরাত আমার সঙ্গে পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে রসিকতা করত। কিন্তু এখন বাবা আমার সাফল্যে বেজায় খুশি। ‘
চলতি বছরের মাধ্যমিক নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক বিতর্ক। ৭৯ জন প্রথম, এবং পাশের হার ১০০ শতাংশ৷ এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রীর মত, ‘এমন তো নয় আমরা পড়াশোনা করিনি, পরীক্ষা দিয়ে এবং পাশ করেই এত দূর এসেছি,অনেকে বলে এই ইউনিট টেস্টে বই খুলে পরীক্ষা হয়। কিন্তু আমি শুটিং ফ্লোর থেকে পরীক্ষা দিয়েছি। আমার কাছে কোনও বই ছিল না!’