বাংলা সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিয়াসা লেপচা (Tiyasa Lepcha)। আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে ২০১৮ সালে জি বাংলার জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘কৃষ্ণকলি’-র হাত ধরে টেলিভিশনের পর্দায় প্রথম পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। একটানা ৪ বছর ব্যাপী চলতে থাকা এই একটা সিরিয়ালে অভিনয় করেই খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন অভিনেত্রী।
প্রথম সিরিয়াল থেকেই এসেছে বিপুল জনপ্রিয়তা। কৃষ্ণকলিতে শ্যামা সেজেই তিয়াসা হয়ে ওঠেন দর্শকদের একেবারে ঘরের মেয়ে। তবে পরবর্তীতে অভিনয়ের পাশাপাশি লাইমলাইটে চলে আসে তিয়াসার ব্যক্তিগত জীবন। একটা সময় ছিল যখন প্রাক্তন স্বামী তথা অভিনেতা সুবান রায়ের হাত ধরেই অভিনয়ের মতো একেবারে অচেনা একটা ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন গোবরডাঙার বাসিন্দা তিয়াসা।
কিন্তু বেশ কিছুদিন হল এখন আর একসাথে থাকেন না সুবান-তিয়াসা। এতদিনে কমবেশি সকলে জেনেও গিয়েছেন তাদের ডিভোর্সের কথা। বর্তমানে তিয়াসা অভিনয় করছেন স্টার জলসার নতুন ধারা বাহিক ‘বাংলা মিডিয়াম’-এ। ধারাবাহিকে তার চরিত্রের নাম ইন্দিরা। আর আগের সিরিয়ালের মতো এই সিরিয়ালেও তিয়াসার বিপরীতে জুটি বেঁধেছেন টেলি অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য।
সম্প্রতি নিজের ব্যক্তিগত জীবন থেকে অভিনয় জীবন এমনকি নিজের পদবি ‘লেপচা’ সবকিছু নিয়েই ইউটিউব চ্যানেল জোশ টকসের সাথে খোলামেলা আড্ডায় বসেছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে অভিনেতাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনের একাধিক ভুল ধারণা দূর করে তিয়াসা জানান অভিনয়টাও আর পাঁচটা পেশার মতোই একটা পেশা। তাই লাইট,ক্যামেরা,অ্যাকশনের বাইরে প্রত্যেক তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে খুব স্বাভাবিকভাবেই হাসি,কান্না এবং সুখ দুঃখের মতো সাধারণ ব্যাপার গুলো আছে।
সেক্ষেত্রে তারাও সকলেও আর পাঁচজন মানুষের মতোই সাধারণ। এছাড়া এদিন তিয়াস জানান অভিনেত্রী হওয়ার পর অনেক আত্মীয় স্বজনদের থেকে তাকে কথা শুনতে হয়. সবাই বলে তার নাকি অ্যাটিটিউড বেড়েছে। কিন্তু এদিন তাদের সকলের উদ্দেশ্যে অভিনেত্রী জানান তিনি এখনও আগের মতোই আছেন। এছাড়া সুবানের সাথে ডিভোর্সের পর তাকে এখন এমন কথাও শুনতে হয় যেখানে লোকজন বলেন ‘বরের হাত ধরে অভিনয়ে এসে তাকেই ছেড়ে দিল’।
এপ্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম উপহার দেওয়ার জন্য তিয়াসা প্রথমেই ধন্যবাদ জানান সুবানকে। তারপর অভিনেত্রী বলেন ডিভোর্স হয় দুজন মানুষের সম্মতিতে,তাই তিনি কাওকে ছেড়ে চলে আসেননি। কিন্তু সামাজিক বিচারকদের বিচারে যখন সব দোষ তার ওপর চাপানো হয়েছিল তখন খুব খারাপ লেগেছিল অভিনেত্রীর। কান্নাকাটি তো আছেই খাওয়াদাওয়া ছেড়ে একসময় তিনি ভেবেই নিয়েছিলেন মরেই যাবেন। কিন্তু পরে তিনি নিজেই নিজেকে বোঝান জীবনে যাই-ই হয়ে যাক না কেন নিজেকে সবসময় খুশি থাকতেই হবে। এছাড়া এদিন শেষে তিয়াসা সাইকেল চালানোর ছোট্ট উদাহরণ দিয়ে নিন্দুকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেন অভিনয় জগতে তিনি সুবানের হাত ধরে এসেছিলেন ঠিকই,তবে অভিনেত্রী হওয়ার জন্য পরিশ্রমটা কিন্তু তিনি নিজেই করেছেন।