এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনে (Television) সম্প্রচারিত অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)। গত বছর নভেম্বর মাস থেকে জি বাংলার (Zee Bangla) পর্দায় সম্প্রচার শুরু হয়েছে এই সিরিয়ালের। কয়েকমাসের মধ্যেই দর্শকদের ড্রয়িং রুমের অংশ হয়ে উঠেছে পর্ণা (Parna), সৃজন (Srijan) এবং ‘বাবুউউর মা’ অর্থাৎ কৃষ্ণা (Krishna)। মিম ফুলের মধু’র জনপ্রিয়তা এবং টিআরপি দুই-ই ঊর্ধ্বমুখী।
দর্শকদের মতে, জি বাংলার এই ধারাবাহিকে বাস্তব জীবনে যা ঘটে সেটাই দেখানো হচ্ছে। যদিও মাঝেমধ্যে সেই কারণে ট্রোলের সম্মুখীনও হতে হয় ‘নিম ফুলের মধু’কে। সম্প্রতি যেমন ছেলে এবং ছেলের বৌয়ের ঘরে উঁকি দিয়ে দর্শকদের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন কৃষ্ণা। ‘শাশুড়ি নাকি সতীন’- ‘বাবুউউর মা’কে শুনতে হয়েছে এমন মন্তব্যও।
‘নিম ফুলের মধু’র সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, পর্ণার কোমরে চোট লেগেছে। সেই কারণে বৌয়ের কোমরে মালিশ করে দিচ্ছে সৃজন। আর সেই দৃশ্য দরজার বাইরে থেকে উঁকি দিয়ে দেখছে সৃজনের মা এবং বৌদি। আর তা দেখেই চটে লাল হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। ‘বাবুউউর মা’য়ের ‘নিম্ন রুচি’ দেখে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
শুধুমাত্র ছেলে এবং ছেলের বৌয়ের ঘরের ভেতর উঁকি দেওয়াই অবশ্য নয়, কৃষ্ণা আবার তারপর নিজের ভবিষ্যৎও দেখে ফেলেছে। ভবিষ্যদ্বাণীর সুরে সে বলে, শীঘ্রই নাকি সৃজন এবং পর্ণা মিলে তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেবে। ঝাঁটা হাতে পর্ণার তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার দৃশ্যও কল্পনা করে ফেলে সে।
এসব দেখেই রেগে গিয়েছেন নেটিজেনরা। একজন যেমন লিখেছেন, ‘ইনি শাশুড়ি নাকি সতীন বুঝতে পারছি না’। আর একজন নেটাগরিকের বক্তব্য, ‘এতই যদি বাবু বাবু করার থাকে তাহলে ছেলের বিয়ে কেন দিয়েছিলে?’ তৃতীয় নেটিজেনের কথায়, ‘এই মহিলা প্রাইভেসি কাকে বলে জানেন না’। এমনই নানান মন্তব্যে ছেয়ে গিয়েছে কমেন্ট বক্স।
ওদিকে আবার সিরিয়ালের সাম্প্রতিক পর্বে দেখানো হয়েছে, শিবরাত্রির দিন যাত্রার দল আসেনি। সেই কারণে শিব-পার্বতী সেজে পাড়ার সম্মান বাঁচায় সৃজন এবং পর্ণা। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছেলে-বৌকে আলাদা করার প্ল্যানিং কষে যাচ্ছে কৃষ্ণা। এবার দেখার শাশুড়ির ষড়যন্ত্রের হাত থেকে পর্ণা নিজেকে কীভাবে বাঁচায়।