
এখনকার দিনে যে কোনো বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Serial) ক্ষেত্রেই শেষ কথা বলে টিআরপি (TRP)। কম টিআরপি-র কারণে গত একবছরে শেষ হয়েছে একের পর এক জনপ্রিয় সব ধারাবাহিক। দর্শকমহলে অত্যন্ত জনপ্রিয় এমনই একটি সিরিয়াল ছিল ‘আয় তবে সহচরী’ (Aye Tobe Sohochori)। মাঝ বয়সি গৃহবধূ সহচরীর দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষিত হয়ে গোল্ডমেডেল পাওয়ার স্বপ্ন নিয়েশুরু হয়েছিল এই সিরিয়াল।
সেইসাথে ছিল ছক ভাঙা শাশুড়ি-বৌমার মিষ্টি বন্ধুত্বের সম্পর্ক। অচেনা সেই বন্ধুত্বের সম্পর্কটাকে পর্দায় খুব সুন্দরভাবে টিভির পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছিলেন সহচরী-বরফি। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। সিরিয়াল চলাকালীন আচমকাই শারীরিকভাবে প্রচন্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সিরিয়ালের প্রধান নায়িকা সহচরী অভিনেত্রী অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)।
মাঝপথে সিরিয়ালের শুটিং বন্ধ রেখে শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার (Spinal Surgery) তাকে ছুটতে হয়েছিল চেন্নাইয়ে। সে কথা এতদিনে জেনে গিয়েছেন দর্শকরাও। তবে সেই অপারেশনের পরে অভিনেত্রী কিন্তু পুরোপুরি সেরা ওঠেননি। অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তীতে তার ফল ভুগতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
একটা সময় নিজের কণ্ঠস্বর হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জানা যায় শিরদাঁড়ার অপারেশনের কারণে একটা সময় অভিনেত্রীর ভয়েস বাক্সের একটা দিক প্যারাসিস হয়ে গিয়েছিল। তাই পুরোপুরি না হলেও অভিনেত্রীর গলার স্বর আবার ফেরত পাওয়ার কিছুটা সম্ভাবনা ছিল.যার জন্য সেই সময় ফিজিওথেরাপির সাথে সাথেই চলেছিল একটানা ভয়েস থেরাপি (Voice Therapy)।
সেই সময়টা অভিনেত্রীকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা যুগিয়ে ছিল তার একরত্তি মেয়ে কিয়া (Kia)। অভিনেত্রী জানিয়েছেন একটা সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি মানসিক অবসাদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। অভিনেত্রীর কথায় অপারেশনের এক মাস আগে যখন তিনি তার অসুস্থতার কথা জানতে পেরেছিলেন তখন এক অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।
সেসময় অভিনেত্রীর বারবার তার মনে পড়ছিল তার একমাত্র পিছুটান তথা একমাত্র মেয়ে কিয়ার কথা। সেই সময় অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়ে ছিল যে অতিরিক্ত মানসিক উত্তেজনার কারণে মেডিটেশনের সাহায্য নিতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে।