বাঙালির বিনোদনের রোজনামচা মানেই বাংলা সিরিয়াল। দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় সিরিয়ালের একটি ‘আয় তবে সহচরী’ (Aay Tobe Sohochori)। সিরিয়ালে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন কনীনিকা বান্ধোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)। সমালোচকদের অভিযোগ শুরুতে শিক্ষামূলক কাহিনী নিয়ে শুরু হলেও সব সিরিয়ালের মত এখানেও ঢুকেছে পরকীয়া, কূটকচালি। নেটপাড়ায় এই নিয়ে কটাক্ষও কম হয়নি। এবার সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে দর্শকদের নিয়ে বিস্ফোরক অভিনেত্রী কনীনিকা।
সমালোচকদের মতে, সিরিয়ালে সর্বদাই পরকীয়া, কূটকচালি দেখানো হচ্ছে। কোনো শিক্ষামূলক সিরিয়াল নেই! প্রায় প্রতিটা সিরিয়ালের গল্পই এক, দুটো বৌ বা দুটো বর, সাথে ষড়যন্ত্র থেকে কূটকচালিতে ভর্তি। কিন্তু এই সবের বাইরে পড়াশোনা নিয়েই শুরু হয়েছিল ‘আয় তবে সহচরী সিরিয়াল’টি। শুরুতে জনপ্রিয়তা মোটামুটি ছিল, এরপর টিপু আর বরফির বিয়ের সময় বাড়ে জনপ্রিয়তা টিআরপি রিপোর্টে স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল তাঁর প্রভাব।
তবে মুশকিল হল, এরপর ধীরে ধীরে এখানেও চলে আসে পরকীয়া। এটা অনেক দর্শকরাই মেনে নিতে পারছেন না। এমন একটা ভালো সিরিয়ালেও কেন পরকীয়া ঢোকানো হচ্ছে! এই নিয়ে অনেকেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে সম্প্রতি নারী দিবসের একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে সিরিয়েল নিয়ে মুখ খুললে সহচরী অভিনেত্রী কনীনিকা বান্ধোপাধ্যায়।
কনীনিকার মতে, ‘দর্শকেরা কেন এই ধরণের রিগ্রেভিস জিনিসগুলো দেখে টিআরপি বাড়াতে সাহায্য করে? দর্শকেরা এই জিনিস দেখে বলেই আমাদের এই সব করতে হয়। আয় তবে সহচরী একটা খুব ভালো সিরিয়াল ছিল পড়াশোনা নিয়ে, এখনও পর্যন্ত প্রোডিউসার ও চ্যানেল চেষ্টা করছে কিভাবে মূল কন্টেন্টে ফিরে আসা যায়। কিন্তু পড়াশোনা দেখানো হলেই সবাই দেখা বন্ধ করে দেয়, টিআরপি পড়ে যায়। একি রে ভাই’!
অভিনেত্রী আরো বলেন, ‘ইতিহাসে যেমন মানুষকে অত্যাচারিত হতে দেখে মজা পেট বাকিরা তেমনই রয়ে গিয়েছি আমরা। শুধু শিক্ষিত হবার মুখোশটা পরে নিয়েছি। কেউ অত্যাচারিত হলে সবাই দেখতে পছন্দ করে। তাই শাশুড়ি বৌমার খারাপ সম্পর্ক বা পরকীয়া সেদিনই বন্ধ হবে যেদিন দর্শকেরা ভালো হবে’।
অভিনেত্রীর এই সাক্ষাৎকারের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যপালকভাবে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকে দর্শকরাই তার মন্তব্যের সাথে সহমত পেষণ করেছেন। এক নেটিজেন ভিডিও দেখে লিখেছেন, ‘৯০% মানুষ শুধু এই নোংরামোটা দেখেই আনন্দ পে। সিরিয়াল শুরুরও থেকে এখন যে একদম আলাদা এটা দর্শকরাই বাধ্য করেছে’। আবার কিছুনেটিজনদের মত অন্য, তাদের মতে, ভালো স্ক্রিপ্ট রাইটারেরও অভাব রয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে।