শাশুড়ি-বৌমার কূটকচালি নয়, বরং ভিন্ন ধারার সুন্দর একটি গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল ‘আয় তবে সহচরী’ ধারাবাহিকটি। মাঝবয়সি এক গৃহবধূর উচ্চশিক্ষা লাভের লড়াই নিয়ে শুরু হয়েছিল সেই সিরিয়াল। মাঝে যদিও দর্শকদের পছন্দের কথা মাথায় রেখে কিছু বদল হয়েছিল চিত্রনাট্যে। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে যাচ্ছিলেন পর্দার সহচরী তথা অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Koneenica Banerjee)।
তবে শুধুমাত্র পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও গত বেশ কিছুটা সময় ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কনীনিকা। লড়াইটা করছিলেন নিজের শরীরে সঙ্গে। দর্শকরা জানেন, কিছুদিন আগেই চেন্নাইয়ে অভিনেত্রীর শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
‘আয় তবে সহচরী’তে দেখানো হয়েছিল, বাবার চিকিৎসার জন্য চেন্নাইয়ে গিয়েছেন সহচরী। তবে সেই ধারাবাহিক এবার বন্ধ হতে চলেছেন। কারণ অভিনেত্রীর শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার সফল হলেও, কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন তিনি।
ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র যেখানে কণ্ঠস্বর হারিয়েছেন, সেখানে তিনি অভিনয় কীভাবে করবেন? তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই ধারাবাহিক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। বুধবার ফেসবুকে লাইভে এসে একথা জানিয়েছেন কনীনিকা নিজেই।
ছোটপর্দার সহচরী বলেন, ‘আপনারা সকলেই হয়তো জেনে গিয়েছেন, আমার শিরদাঁড়ায় একটি বড় অস্ত্রোপচার হয়েছে। আমি সুস্থ হয়ে যে বাড়ি ফিরেছি একথা ঠিক। তবে এখনও আমার কণ্ঠস্বর পুরোপুরি ফেরত আসেনি। আমি ডিপ্রেশনে যাইনি। তবে আমায় এই কণ্ঠস্বর নিয়ে লড়াই করতে হচ্ছে। আজ তাও একটু ভালো করে কথা বলতে পারছি বলে এই লাইভটা করছি। এর আগে আমার গলা দিয়ে শুধু হাওয়া বের হচ্ছিল’।
অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ঠিক করে কথা বলতে পারছিলাম না। সবে এক মাস হয়েছে। অনেক প্রচেষ্টা চলছে। আশা করি, আগামী এক থেকে দু’মাসের মধ্যে আমার গলার আওয়াজ ফিরে আসবে। ভয়েস পাওয়ারে এমন একটা জিনিস হয়েছে যে আমি পুরোদমে কথা বলতে পারছি না’। সব শেষে কনীনিকা বলেন, কঠিন এই লড়াইয়ে তাঁর শক্তি হয়ে উঠেছেন পরিবার, একরত্তি মেয়ে কিয়া এবং তাঁর সকল অনুরাগীরা।