দর্শকরা সবসময়ই মুখিয়ে থাকেন তাদের পছন্দের তারকা দের ব্যক্তিগত জীবন ঠিক কেমন তা জানার জন্য। টিভির পর্দায় দেখা অভিনেতা অভিনেত্রীরা বাস্তবেও ঠিক সেরকম নাকি অনেক আলাদা তা নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই অনুরাগীদের। কিন্তু অভিনেতা অভিনেত্রীরাও দিনের শেষে গিয়ে আমার আপনার মতোই একজন মানুষ যাদের পরিবার,পরিজন, কাছের মানুষ থাকে।
এরকমই একজন অভিনেত্রী রূপসা চক্রবর্তী। স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘খোকাবাবু’ তে অভিনয়ের সুবাদে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। তার পটলচেরা চোখ, মিষ্টি হাসি আর নম্র ব্যবহারেই কাত ৮ থেকে ৮০। অভিনয় জগতে অভিনেত্রী পা রাখেন তার স্বামী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরেই।
রূপসার জেঠু এবং বাবাও দীর্ঘদিন অভিনয়ের সঙ্গেই যুক্ত। তাই অভিনয় তার রক্তেই। সংসার, ছোট্ট ছেলেকে সামলেই তিনি এসে দাঁড়ান ক্যামেরার সামনে। তবে অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছে তার কোনো কালেই ছিলনা৷ রূপসার কথায়, ” অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা আমার মোটেই ছিলনা! আমি আর পাঁচটা মেয়ের মতো পড়াশোনা করতাম, গান গাইতাম৷ বেশ কয়েকটা সিরিয়ালে প্লেব্যাকও গেয়েছি৷ বিয়ে হওয়ার পর মন দিয়ে সংসারটাই করতাম, পড়াশোনাও চলছিল৷ ছেলের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত আমি পুরোদস্তুর হোমমেকার ছিলাম, ওর দেখাশোনা করেছি৷ অভিনয়ের সুযোগটা একেবারে আচমকা আসে, সেটা করতে গিয়ে ভালো লেগে যায়৷ একের পর এক কাজ পেতেও থাকি… ব্যস, সেই থেকেই চলছে৷’’
এ কথা প্রায়ই শোনা যায় যে, যাঁরা টিভিতে কাজ করেন, তাঁদের নাকি বাড়ি ফেরার কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকে না৷ তা হলে সংসার, ছেলে সামলান কীভাবে? রূপসা বলছেন, ‘‘একটা ব্যাপারে আমি খুব ভাগ্যবান, আমার ছেলেটা সব ধরনের পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি৷ এমনও হয়েছে যে সকালে শ্যুটিংয়ে বেরিয়েছি, প্যাকআপ হয়েছে পরদিন ভোর পাঁচটায়৷ আমার মা-বাবা, শাশুড়িও খুব সাহায্য করেছেন৷ স্নেহাশিসও খুব হেল্পফুল, ওঁর অনেকটা কাজই অফিস থেকে করা যায় বলে উনিও যখনই সম্ভব হয়, তখনই ছেলেকে সঙ্গ দেন৷ আর এখন ওর বয়স প্রায় 11, তাই খুব অসুবিধে হয় না৷’’