আজ থেকে প্রায় তিন বছর আগে এক রাতে নিজস্ব অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ে ঢুকতে না পেরে বাইরে রাত কাটাতে বাধ্য হন রিতেশ আগরওয়াল। সে রাতেই বলপূর্বক এক হোটেলে ঢুকে যে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনি, তাই তাঁর জীবনকে ঘুরিয়ে দেয় ১৮০ ডিগ্রি। ২১ বছর বয়সী রিতেশের বক্তব্য, “হোটেলে ঢুকে দেখি রিসেপশনিস্ট ঘুমাচ্ছে। অন্যদিকে রুমের সকেটগুলোও ছিল অকেজো, তোষকগুলো ছেঁড়া। বাথরুমের কল থেকে অনর্গল জল পড়ছে। অবশেষে দেখি ওনারা ক্রেডিট কার্ডও নিচ্ছেন না।”
এরকম সমস্যায় পড়ে রিতেশ কিছু চিন্তাভাবনা করেন। তাঁর কথায়, “আমি ভাবলাম আমার মতো অন্যরাও তাহলে একই সমস্যায় পড়ছেন।” হোটেলের এমন অব্যবস্থা দেখে তিন বছর পর আগরওয়াল হোটেলব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা করেন ‘অয়ো রুমস’। উক্ত প্রতিষ্ঠানের তিনি এখন প্রধান কার্যনির্বাহী। বিনা ঝামেলায় একজন যাতে হোটেলে থাকতে পারেন সেই ব্যবস্থা করাই অয়োর দায়িত্ব। বর্তমানে ভারতের প্রায় ৩৫টি শহরে হাজারের বেশি হোটেল তার নেটওয়ার্কের আওতাধীন।
রিতেশ জানিয়েছেন, তাঁর অধীনে প্রায় ১ হাজার কর্মী কাজ করছে বর্তমানে। ভারতের সকল ক্ষুদ্র হোটেলের মানোন্নয়নই যে অয়োর একমাত্র কাজ নয়, তা জানান তিনি। কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং প্রযুক্তিগত সেবাও দেওয়াও অয়োর আওতায় পড়ে। ব্যবসার অংশ হিসেবে আগরওয়াল তৈরি করেছেন ‘অয়ো অ্যাপ’। এই মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে অতিথিরা হোটেলের ঘর বুকিং থেকে হোটেলে যাওয়ার পথ নির্দেশনা হোক বা হোটেলের রুম সার্ভিস ব্যবহার, সবকিছুই করতে পারেন।
বর্তমানে অয়ো থেকে প্রতি মাসে রিতেশের আয় প্রায় ২৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। তাঁর বক্তব্য, জীবনে চাকরিই সব নয়, চাকরি ছাড়াও আরও অনেকভাবেই জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সম্ভব। উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠার জন্য দরকার পরিশ্রম ও ধৈর্য্য এবং সেটা যে সবার থাকে না এও জানিয়েছেন রিতেশ!