বাঙালির বিনোদনের একটা বড় অংশই সিরিয়ালকে (Serial) ঘিরে। সন্ধ্যে নামলেই নানান সিরিয়ালের মধ্যে থেকে নিজের পছন্দের সিরিয়াল দেখতে হাজির হন সকলে। সিরিয়ালের প্রিয় চরিত্রদের না দেখলে যেন দিনটা অসম্পূর্ন থেকে যায়। দর্শকদের এক এক জনের পছন্দ এক এক ধরণের। কারণ রানী রাসমণি পছন্দ তো কারো আবার খুড়কুটো। তবে গত মার্চে একটি নতুন সিরিয়াল শুরু হয়েছিল যার নাম, ‘ আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’। তবে অল্প দিনের মধ্যেই এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন জিতে নিয়েছে।
এমনকি টিআরপির দৌড়েও একটু একটু করে জায়গা করে নিচ্ছে এই ধারাবাহিকটি৷ উর্মি নামের এক বড়লোক ঘরের মেয়েকে নিয়েই গল্পের প্রেক্ষাপট। উর্মি অর্থাৎ সিরিয়ালের মূল চরিত্র নাচ, গান, আবৃত্তি, খেলাধুলা সমস্ত কিছুই শিখেছে কিন্তু একটু একটু। আর এবার তার ইচ্ছা গাড়ি চালানো শেখা। আর এই ট্যাক্সি চালানো শিখতে গিয়েই গল্পের নায়ক অর্থাৎ মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাপোষা ছেলে সাত্যকির সাথে পরিচয় উর্মির। এবার হলুদ ট্যাক্সি চালানো শেখার মাঝে কিভাবে প্রেমের গাড়ি চলতে শুরু হয় সেটাই দেখতে দর্শকেরা চোখ রেখেছেন সিরিয়ালে।
সিরিয়ালের কাহিনীর শুরুতেই জানা যায় উর্মির বড়লোক বাড়িতে মানুষ হলেও যৌথ পরিবারের মজা খুব মিস করে সে। কারণ ঘুম থেকে উঠে সকলেই যে যার কাজে ব্যস্ত তাই বড় একা লাগে তার। একটিন উর্মির বাড়ি ফেরার পথে কিছু ছেলে পিছু নেয়। আর তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে মধ্যবিত্ত পরিবারের ট্যাক্সি চালক সাত্যকি।
এই ধারাবাহিকে ছটফটে মেয়ে উর্মির চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী অন্বেষা হাজরা। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ অনেকদিন ধরেই পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কাজললতা ধারাবাহিক দিয়ে ছোট পর্দায় অভিনয় জীবন শুরু করেন অন্বেষা। বেশ জনপ্রিয় হয় ধারাবাহিকটি। এরপর অন্বেষাকে দেখা যায় আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম ধারাবাহিকে। এই ধারাবাহিকটির মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন লিলি চক্রবর্তী। এছাড়াও ছিলেন মনোজ মিত্র ও ছন্দা চট্টোপাধ্যায়।
এরপর জয় কালী কলকত্তাওয়ালীতে এক সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। প্রসঙ্গত, অন্বেষার জন্ম 22 ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে। তার বাবা ব্যবসায়ী মানুষ এবং বর্ধমানের একটি ফিল্ম থিয়েটারের মালিক। তিনি নিজেই বর্ধমান থেকে স্কুল এবং স্নাতক ডিগ্রি নিয়েছিলেন। অন্বেষা ফিজিওলজিতে স্নাতক। তিনি শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি অনুরাগী ছিলেন এবং সর্বদা একজন সফল অভিনেত্রী হতে চেয়েছিলেন।